ডেস্ক রিপোর্ট: আবার নাকেমুখে মাস্ক গুজতে দেশের নাগরিকদের বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও ওমিক্রন বিএফ.৭ উপরূপের দাপটে নাজেহাল অবস্থা চিনের। দেশে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের দেহে বিএফ.৭ সাব-ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ১৮৫ জন। একজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তারপরেও চিনের কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই সতর্ক থাকতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বুধবার বিশেষজ্ঞ ও আধিকারিকদের নিয়ে কোভিড পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সারেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে আবার মাস্ক পরে চলাফেরা করতে দেশবাসীর কাছে আবেদন রাখেন তিনি। বছরের মাঝামাঝি থেকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসতেই স্বাস্থ্য বিধি ধীরে ধীরে শিথিল করতে শুরু করে সরকার। মানুষও মুখ থেকে মাস্ক নামিয়ে রাখতে শুরু করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঘরে-বাইরে মাস্কের ব্যবহার প্রায় ভুলতেই বসেছে জনগণ। বৈঠকে বুস্টার ডোজের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশের বেশি নাগরিকের ডবল ডোজ টিকা সম্পূর্ণ হলেও বুস্টার টিকা নিয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ মানুষ। এই সংখ্যা দ্রুত আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে কোভিডের মিউটেশনের উপর নজরদারি চালাতেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বড়দিনের উৎসব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। কয়েকদিন বাদেই ইংরেজি নববর্ষ। উৎসবের মরশুমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাস্ক পরার পাশাপাশি দূরত্ববিধি মেনে চলা ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারগুলির কাছেও কোভিড সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। চিনের কোভিড পরিস্থিতির উপর সরকার নজর রাখছে বলে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়।

শূন্য কোভিড নীতি নিয়ে চলেও চিন কেন আজ বিপর্যয়ের মুখে তার কারণ খুঁজে বের করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হুর প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। চিন সরকার কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমিয়ে দেখাচ্ছে বলে সন্দেহ হুর। চিন সরকার বলছে, অতিমারি শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাদের দেশে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ২৪১ জন করোনা রোগীর। মঙ্গল ও বুধবার দেশে নতুন করে কোভিডে কেউ মারা যায় নি বলেও দাবি করেছে চিন। যদিও ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটির দেওয়া তথ্য বলছে, চিনে প্রতিদিন ১০ লক্ষের বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন ও রোজ মারা যাচ্ছে পাঁচ হাজারের বেশি রোগী। এই তথ্য সঠিক হলে বলতে হবে চিনের কোভিড পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ।
Feature Image is representational.