ডেস্ক রিপোর্ট: চিন থেকে সদ্য ফেরা আগ্রার এক যুবকের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসতেই তাঁর বাড়ি সিল করে দিল স্থানীয় প্রশাসন। যুবককে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। ওমিক্রন বিএফ.৭ সাব-ভ্যারিয়েন্টের দাপটে চিনে রোজ পাঁচ লক্ষ করে মানুষ কথোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর। ভারতে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের শরীরে বিএফ.৭ সাব-ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। বিএফ.৭- এর ছড়িয়ে পড়া রুখতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপর বিশেষ জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিন ফেরত যুবকের নমুনাও জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর চিন থেকে ফেরেন আগ্রার তাজনগরী এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক। ফিরেই শহরের একটি বেসরকারি ল্যাবে কোভিড টেস্ট করান তিনি। রবিবার টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রিপোর্ট চলে যায় জেলা প্রশাসনের সার্ভারে। প্রশাসনের লোকেরা এসে যুবকের বাড়ি সিল করে দিয়ে তাঁকে ও তাঁর বাড়ির সব সদস্যকে নিভৃতবাসে যেতে বাধ্য করে। আরও কে কে যুবকটির সংস্পর্শে এসেছে, তাঁদেরও শনাক্ত করার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য দফতর। উত্তর প্রদেশ সরকারের কড়া নির্দেশ- কোভিড পজিটিভ এলেই আক্রান্তের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং বাধ্যতামূলক। ইতিমধ্যেই চিন ফেরত আগ্রার আক্রান্ত যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
চিন সংক্রমণের সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং থাইল্যান্ডেও বিএফ.৭ উপরূপের জেরে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জন বিএফ.৭-এ আক্রান্ত হলেও তারা সবাই উপসর্গহীন বলে জানা গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের কোভিড পরিসংখ্যানেও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনও কারণ দেখা যাচ্ছে না। রবিবার সকাল ৮ টায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে মাত্র ২২৭টি নতুন পজিটিভ কেস শনাক্ত হয়েছে। সারা দেশে ৩ হাজার ৪২৪ জন কোভিড আক্রান্ত চিকিৎসাধীন আছেন। সুস্থতার হার ৯৮.৮০ শতাংশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চিনের কথা মাথায় রেখে নাগরিকদের কোভিড বিধি মেনে চলাফেরা করতে পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভারতের ৯০ শতাংশ মানুষের ডাবল ডোজ প্রতিষেধক নেওয়া সারা। যদিও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ। টিকাকরণ কর্মসূচির সাফল্যের কারণেই ভারতে ওমিক্রন বিএফ.৭ সাব-ভ্যারিয়েন্ট ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবে না বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। বুস্টার টিকার কার্যক্রম নিয়ে যে ঢিলেমি ছিল, চিনের পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে তা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে চাইছে সরকার।
Feature Image is representational. Photo credit- abc news/AP.