জলপাইগুড়ি : কোভিডে আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ি শহরে। বৃহস্পতিবার এই খবর জানালেন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। সৈকতবাবু পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগেরও দায়িত্বে। মৃতরা হলেন শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পিনাকী সেনগুপ্ত ( ৮৩) এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিলা সরকার ( ৬৬) । দু’জনেই বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনের কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার জলপাইগুড়ি পুর এলাকায় নতুন করে কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিলেন ১৬জন। বৃহস্পতিবার আরও পাঁচজন শহরবাসী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দ্বিতীয় ওয়েভ থিতিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন জলপাইগুড়িতে কোভিড রোগীর সংখ্যা ছিল শূন্য। কোভিড হাসপাতালও প্রায় রোগীশূন্য হয়ে পড়ায় চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদেরও বিদেয় করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ওমিক্রনের হাত ধরে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়তেই ফের জলপাইগুড়ি শহরেও করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে রোজই নতুন করে পজিটিভ রোগী ভর্তি হচ্ছে কোভিড হাসপাতালে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আবার চুক্তি ভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছে।
করোনায় একই দিনে শহরে দুই সহনাগরিকের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান। কোভিড আক্রান্তদের পরিষেবা দিতে বৃহস্পতিবার থেকেই ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম চালু করল পুরসভা। কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর – 80160 59291 । ২৫টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি শহর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের যে কেউ সংক্রমিত হলেই তাঁকে বিনা মূল্যে পুরসভা পরিষেবা দেবে বলে জানিয়েছেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়। পুরসভার পক্ষ থেকে কোভিড পজিটিভ রোগীদের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুরসভার অ্যাম্বুলেন্সে বিনা মূল্যে অক্সিজেন সরবরাহেরও ব্যবস্থা থাকছে। সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, সরকারি কোভিড হাসপাতাল তো বটেই প্রয়োজনে শহরের বেসরকারি হাসপাতালেও রোগী পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে পুরসভার অ্যাম্বুলেন্স।
Photo Credit – Reuters ( Feature Image ) . Feature Image is symbolic only.