পিতাকে আঘাত দেওয়া পাপ। বিচার-বিবেচনাহীন উন্নয়নের নামে পিতা হিমালয়ের দেহ-মনে আঘাত করে আমরা কুপুত্রের পরিচয় দিচ্ছি না তো? লিখলেন উত্তম দেব-
দেবতাত্মা হিমালয়। হিমালয়কে আমরা দেবতা জ্ঞানে পূজা করি। ভারতবাসীদের জীবনে হিমালয় পর্বতমালার অবদান এত গভীর, বিপুল ও বিস্তৃত যে হিমালয়কে ভারতবর্ষের জনক বললে অত্যুক্তি হয় না। রক্ষাকর্তা সেই হিমালয়কে যতটা সেবা ও সম্মান করা উচিত ততটা করছি কি? পিতাকে আঘাত দেওয়া পাপ। বিচার-বিবেচনাহীন উন্নয়নের নামে পিতা হিমালয়ের দেহে-মনে আঘাত করে আমরা কুপুত্রের পরিচয় দিচ্ছি না তো? উত্তরাখন্ডের নির্মীয়মান সিল্কিয়ারা-বারকোট সুরঙ্গপথের ১০০ মিটার এলাকায় ধস নামায় আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। গত ১২ নভেম্বর সুরঙ্গে ধস নেমেছিল। বিপর্যয়ের ১৭ দিন পরে বহু কষ্টে তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। শ্রমিকদের উদ্ধারে সরকারের দিক থেকে চেষ্টার কোনও ত্রুটি অবশ্যই ছিল না। খোঁড়াখুঁড়ির জন্য আমেরিকা থেকে অত্যাধুনিক যন্ত্র আনা হয়েছিল। সেই যন্ত্র টানেলের ধসে পড়া অংশে ইস্পাতের কাঠামোয় আঘাত লেগে ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছিলেন আন্তর্জাতিক সুরঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স। ভিনদেশী ডিক্স সহ দেশের উদ্ধারকারী দলের সকলে মিলে দিবারাত্রি প্রাণপাত পরিশ্রম করেছেন ৪১ জন শ্রমিককে নিরাপদে বের করে আনতে। অবশেষে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৭:৪৯ মিনিটে উদ্ধার অভিযান সফল হলে আতঙ্কের প্রহরের অবসান ঘটে। শুধু আটকে পড়া শ্রমিকদের প্রিয়জনেরাই নন, দেশের ১৪৩ কোটি মানুষও হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।
এই ক’দিন সুরঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের মনের ভেতরে কী চলছিল, যে কোনও সংবেদনশীল মানুষের পক্ষেই তা অনুমান করা কষ্টকর নয়। আমাদের সকলের মন চাইছিল, এই মুহূর্তেই অবরুদ্ধ সুরঙ্গ থেকে অক্ষত দেহে শ্রমিকদের বের করে আনা হোক। তাঁদের প্রিয়জনদের বুক থেকে উৎকন্ঠার পাষাণটি নামুক। কিন্তু কোটি কোটি দেশবাসীর সকাতর প্রার্থনা, উদ্ধারকারী দলের যাবতীয় প্রচেষ্টা এমনকি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও প্রকৃতির কাছে অসহায়! কতটা ঝুঁকির মধ্যে উদ্ধারকারীদের কাজ করতে হয়েছে, আর্নল্ড ডিক্সের মন্তব্যেই তা পরিষ্কার। উদ্ধার অভিযান যখন বাধার মুখে বারে বারে থমকে যাচ্ছে, তখন ডিক্স বলেছিলেন, “তাড়াহুড়ো করলে নতুন কোনও বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। হিমালয় অত্যন্ত সংবেদনশীল। ধরে নিন, আমরা কাঁচের উপর দাঁড়িয়ে কাজ করছি। আমরা ঠিক জানি না, ঠিক পরের মুহূর্তেই কী চমক দেখাবে হিমালয়।” উত্তরকাশীর বিপর্যয়স্থলে দাঁড়িয়ে আর্নল্ড ডিক্স আরও যা বলেছেন, তা নতুন কিছু নয়, আমরা সবাই জানি। কিন্তু মনে রাখি কি? ডিক্স বলেছেন, “হিমালয় পর্বত ভূতাত্ত্বিক চরিত্রে নবীন প্রকৃতির। তাই অস্থির। এখানে যে কোনও ধরণের খোঁড়াখুঁড়ির কাজে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।” যে চারধাম প্রকল্পের (চারধাম মহামার্গ বিকাশ পরিযোজনা) কাজ করতে গিয়ে ৪১ শ্রমিক ‘সিল্কিয়ারা-বারকোট’ সুরঙ্গে আটকা পড়েছেন, তা যতটা বিশাল ততটাই বিতর্কিত।
গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ- তীর্থযাত্রীদের জন্য এই চারধামের যাত্রাপথ সুগম ও সংক্ষিপ্ত করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত-তিব্বত সীমান্ত সংলগ্ন গাড়োয়াল হিমালয়ের এই অঞ্চলে কৌশলগত কারণেও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ১১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার এই বিশাল প্রকল্পে পাহাড় কেটে মোট ৮৮৯ কিলোমিটার দুই লেনের রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। ৬০১ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ ইতোমধ্যেই সমাপ্ত। গোটা যাত্রাপথে ২টি সুরঙ্গপথ, তিনটি ভায়াডাক্ট ও ১১৬টি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চাভিলাষী চারধাম প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল পরিবেশবাদীদের। চারধাম প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে গাড়োয়াল হিমালয়ে পরিবেশগত বিপর্যয় নেমে আসবে, এই আশঙ্কায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন পরিবেশবাদীরা। মামলাকারীদের মধ্যে দেরাদুন ভিত্তিক পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সিটিজেন্স ফর গ্রিনদুন’ও ছিল।
চারধাম প্রকল্প হিমালয়ের পরিবেশের উপরে কী ধরণের প্রভাব ফেলবে তা খতিয়ে দেখতে একটি হাই পাওয়ার্ড কমিটি (এইচপিসি) গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২৫ সদস্যের এইচপিসি-র ১৪ জনই ছিলেন সরকারি আধিকারিক। ২০২০-এর জুলাই মাসে এইচপিসি শীর্ষ আদালতের সামনে রিপোর্ট পেশ করে। চারধাম প্রকল্পে রাস্তা কতটা চওড়া করা উচিত, সেই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেন নি এইচপিসি-র সদস্যরা। কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ ২১ সদস্যের মত ছিল, চারধাম প্রকল্পের রাস্তা ১২ মিটার চওড়া করা উচিত। ২১ জনের মধ্যে ১৪ জনই ছিল সরকারের লোক। কমিটির ভেতরে সংখ্যালঘু চারজন জানিয়েছিলেন, হিমালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে রাস্তার প্রস্থ ৫.৫ মিটার রাখা প্রয়োজন। ২০২০-এর সেপ্টেম্বর মাসে হাই পাওয়ার্ড কমিটির সংখ্যালঘু সদস্যদের মতামতকে মান্যতা দিয়ে চারধাম প্রকল্পের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলিতে রাস্তার প্রস্থ ৫.৫ মিটারে সীমাবদ্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
এই নির্দেশে আপত্তি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে চারধাম প্রকল্পের রাস্তা দুই লেনের করা প্রয়োজন এবং সে ক্ষেত্রে রাস্তা ১০ মিটারের কম চওড়া রাখা সম্ভব নয়। একুশের নভেম্বরে মামলাটি ফের শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে উঠলে ভারত সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল কে বেনুগোপাল বিচারপতিদের জানান, “সীমান্তের ও’পারে চিন হেলিপ্যাড সহ নানা ধরণের স্থায়ী সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদেরও সীমান্ত পর্যন্ত এমন রাস্তা নির্মাণ করতে হবে, যা অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বোঝাই সামরিক বাহিনীর ভারী ট্রাক, কামান, রকেট লঞ্চার ও ট্যাঙ্ক বহনে সক্ষম।” ২০২২-এর ১৪ ডিসেম্বর চারধাম প্রকল্প নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সরকার পক্ষের যুক্তি মেনে নিয়ে চারধাম প্রকল্পে দুই লেনের রাস্তা নির্মাণেই ছাড়পত্র দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৩ সালে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে (ক্লাউড ব্লাস্ট) উত্তরাখণ্ডে ৬,০০০ মানুষের জীবনহানি ঘটেছিল। ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলেন সেই দুর্যোগে। আটকে পড়া ৩ লক্ষ পর্যটক ও তীর্থযাত্রীকে উদ্ধারে অভিযানে নামতে হয়েছিল সেনাবাহিনীকে। গত এক দশকে হিমালয় রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে এবং প্রত্যেক বর্ষায় আকস্মিক বন্যা, মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত হচ্ছে গাড়োয়াল হিমালয়ের জনজীবন। ২০২৩-এর বর্ষায় জুন থেকে সেপ্টেম্বর- এই তিনমাসে উত্তরাখন্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের বেশি মানুষের। নিখোঁজ পঞ্চাশের বেশি। এই বছর উত্তরাখন্ডের পাহাড়ে রেকর্ড ১,১০০ ধস নেমেছে। সংখ্যাটা ২০২২-এ ছিল ২৪৫, ২০২১-এ ৩৫৪। তেইশে পাহাড় ধসের সংখ্যায় প্রায় পাঁচগুণ বৃদ্ধি ভূ-বিজ্ঞানীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩- এই আট বছরে ‘দেবভূমি’তে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০০ মানুষের। হিমালয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পাহাড়ের মাটি দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা।
সিল্কিয়ারা-বারকোট সুরঙ্গপথে ধসের ঘটনা পরিবেশবাদী ও চারধাম প্রকল্পের বিরোধীদের বলার সুযোগ করে দিয়েছে। তাঁরা এখন বলছেন, আমাদের আশঙ্কাই সত্য হল। নিয়ম হল, হিমালয় অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণ কালে ৩০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি কোণের মধ্যে পাহাড়ের ঢাল কাটতে হবে। চারধাম প্রকল্পের কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারেরা রাস্তা চওড়া করার সময় পাহাড়ের খাড়া অংশ নির্ধারিত ৪৫ ডিগ্রি কোণের বেশি কেটে ফেলছে বলে অভিযোগ। বেহিসেবী খনন ও দৈত্যাকৃতি ‘আর্থ মুভার’ যন্ত্র থেকে সৃষ্ট কম্পনও পাহাড়ের ঢালের মাটিকে দুর্বল ও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ঠিক কী কারণে সিল্কিয়ারা-বারকোট টানেলে ধস নেমেছে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানায় নি ন্যাশনাল হাইওয়েস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (NHIDCL) সহ চারধাম প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য কর্তৃপক্ষ। হিমালয়ের পুরো অঞ্চলটাই প্রাকৃতিকভাবেই ভীষণ রকমের ধস, বন্যা ও ভূমিকম্প প্রবণ। পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে হিমালয়ের চরিত্র আরও বেশি অনিশ্চিত (আনপ্রেডিক্টেবল) হয়ে উঠতে পারে বলে ভূতাত্ত্বিকদের আশঙ্কা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, দ্রুত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি দেশের সর্বত্র হচ্ছে, হিমালয়ান রাজ্যগুলি কেন বঞ্চিত হবে? স্থানীয়দের তরফ থেকে সেই দাবি আছে এবং সরকারের পক্ষে তা উপেক্ষা করাও সহজ নয়। জাতীয় নিরাপত্তার দিকটিও সরকারকে মাথায় রাখতে হয়। কিন্তু বিরাট উন্নয়নের ধাক্কায় হিমালয়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বেসামাল হয়ে পড়লে তার মূল্যটা সবার আগে চোকাবে কারা? যাদের পায়ের নিচে হিমালয়ের মাটি, যাদের মাথার উপরে তুষারশুভ্র হিমাদ্রি, যাদের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে হিমালয়, বিপন্ন হবে তারাই। গাড়োয়াল হিমালয়ে ভূমিধসের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে নিয়ম না মেনে কংক্রিটের পরিকাঠামো নির্মাণ ও চারধাম প্রকল্পের অধীনে বড় বড় কাজগুলির দিকেই আঙুল তুলেছেন পরিবেশবাদী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরিবেশের উপরে চারধাম প্রকল্পের প্রভাব খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে ‘হাই পাওয়ার্ড কমিটি’ গঠিত হয়েছিল, তার শীর্ষে ছিলেন পরিবেশবিদ রবি চোপড়া। তাঁর উত্থাপিত যাবতীয় প্রস্তাব কমিটিতে নাকচ হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেছিলেন হতাশ রবি। চারধাম প্রকল্প শুরু করার আগে যে ধরণের ভূতাত্ত্বিক অনুসন্ধান চালানো উচিত ছিল, তা কমিটি এড়িয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন রবি চোপড়া। রবির মনে হয়েছে, সরকারের দ্রুত কাজ শেষ করার তাড়া আছে এবং গোটা পরিকল্পনাটি নেওয়া হয়েছে তাড়াহুড়ো করে। প্রকৃতির কাছ থেকে যে বিপদগুলি আসতে পারে, তা উপেক্ষা করা হয়েছে চারধাম প্রকল্পে জলদিবাজি করতে গিয়ে, তেমনটাই মনে করেন এই পরিবেশবিদ। হিমালয়ের যে’সব স্থানে চুনাপাথরের পাহাড়, সেখানে নির্মাণকাজ চলা কালে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে না। জলের সংস্পর্শে চুনাপাথর গলে গিয়ে দুর্বল করে দিচ্ছে পাহাড়কে। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য চারধাম প্রকল্পের পরিবেশগত দিকটি উপেক্ষা করার অভিযোগ মানছে না। সরকারের দাবি, পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই হিমালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে প্রকল্পের নকশা করা হয়েছে, নির্মাণ কাজে নেওয়া হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির সহায়তা।
রাষ্ট্র জেদ ধরলে যে কোনও বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ছাড়তে পারে। পরিবেশ-প্রকৃতি নিয়ে যাঁরা উদ্বিগ্ন, তাঁদের ক্ষীণকন্ঠ বড় বড় প্রকল্পের তলায় চাপাও পড়ে যায় দ্রুত। একটা কিছু বলে মানুষকে বুঝ দেওয়া সহজ কিন্তু গোঁজামিল চলে না প্রকৃতির রাজ্যে। আমাদের দেওয়া যতটা ব্যথা পিতা হিমালয় সহ্য করতে পারে, তার চেয়ে বেশি ব্যথা হিমালয়কে দিলে তা কি আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে? ভারতবর্ষের জন্য হিমালয়ের চেয়েও বড় উন্নয়ন আর কী আছে?