মনোনয়ন জমা দিতে এসে দফায় দফায় পুলিশের বাধা! ফিরেই যেতে হল বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাকে - nagariknewz.com

মনোনয়ন জমা দিতে এসে দফায় দফায় পুলিশের বাধা! ফিরেই যেতে হল বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাকে


প্রার্থীকে কেন বাধা সংবাদ মাধ্যমকে জানায় নি পুলিশ। মনোনয়নপত্র জমা দিতে আদালতের দ্বারস্থ হবেন জলপাইগুড়ির বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।

জলপাইগুড়ি :মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন‌ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও কথা কাটাকাটিতে সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আর মনোনয়ন জমাই দিতে পারেন নি শেখরবাবু। বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। দলের প্রতীক না পেয়ে নির্দল হিসেবে ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জির মদতে পুলিশ তাঁকে বেআইনিভাবে আটকেছে বলে অভিযোগ করেন শেখরবাবু। মনোনয়নপত্র জমা দিতে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন এই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা।

পুলিশের বাধায় মনোনয়ন জমা দিতে না পারার অভিযোগ জলপাইগুড়ির বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার।

মঙ্গলবার বিকেলে মনোনয়নপত্র জমা দিতে অনুগামীদের নিয়ে শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মহকুমা শাসকের দফতরের দিকে যাচ্ছিলেন ঠিক পিডব্লিউডি মোড়ে পুলিশ তাঁর পথ আটকায়। খানিক তর্কবিতর্কের পর প্রার্থী সহ দু’জনকে যেতে দেওয়া হয়। মহকুমা শাসকের দফতরে ঢোকার মুখে ফের আরেকবার শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে আরেক দফা বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন শেখরবাবু। পুলিশ যখন শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ ছেড়ে দেয় ততক্ষণে এ’দিনের মতো মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার অভিযোগ,” বিনা কারণে বারেবারে পুলিশ আমার পথ আটকেছে। উদ্দেশ্য একটাই, যাতে আমি মনোনয়ন জমা না দিতে পারি। পুলিশের ভূমিকা ন্যক্কারজনক।” জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জির প্ররোচনাতেই পুলিশ তাঁকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দিয়েছে বলে শেখরবাবুর অভিযোগ।

মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাকে দফায় দফায় আটকায় পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি মহুয়া গোপ দলের যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন, তাতে ১ নম্বর ওয়ার্ডে শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ছিল। কিছুক্ষণ পরে সেই তালিকা বাতিল করে দেন রাজ্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাতে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশিত হয়। তাতে ১ নম্বর ওয়ার্ডে শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে নিলম শর্মার নাম যুক্ত হয়। শনিবার সকাল থেকেই শেখর অনুগামীরা তেতে ওঠেন। মঙ্গলবার সকালে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করেন শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।‌দলের এক প্রভাবশালী নেতা কলকাতায় গিয়ে তাঁর নাম বাতিল করে এসেছে বলে সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ করেন শেখরবাবু। শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি শহরের আদি তৃণমূলীদের একজন। জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রথম সভাপতিও ছিলেন তিনি। দলের প্রতীক না মেলায় শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের তির জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জির দিকে। যদিও শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সৈকত চ্যাটার্জি। তিনি বলেন,” ভুল বশতঃ প্রার্থী তালিকায় দু’একটি নামের এদিক-ওদিক হয়েছিল। পরে সংশোধন করা হয়েছে। প্রার্থী তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা অনুমোদিত।” মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে‌ও সৈকতে চ্যাটার্জিকেই অভিযুক্ত করেছেন শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগ‌ও অস্বীকার করেছেন জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি। ঘটনা যাই হোক। আঠারোয় পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও একই ঘটনা ঘটেছিল জেলায়। প্রার্থীকে ফের মনোনয়ন জমা দিতে বাধার দৃশ্য দেখে পুরভোটর মুখে উদ্বিগ্ন জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহল।

ভিডিওতেও খবরটি দেখুন-

Photo & Video – Reporter.


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *