ডেস্ক রিপোর্ট: পূর্ব ভারতে যখন ভয়ঙ্কর গরমে নাজেহাল মানুষ, তখন হিমাচল প্রদেশের জনজীবনে দুর্যোগ ডেকে আনছে বৃষ্টি ও তুষারপাত। তুষারপাতের জেরে শনিবার হিমাচল প্রদেশে ১০৪টি রাস্তা ও তিনটি জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। সঙ্গে চলছে ভারী বৃষ্টিও। জলের তোড়ে একটি সেতু ভেসে যাওয়ায় কাংড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানালি-কেলঙ-সিসুরে যান চলাচল বন্ধ। লাহুল ও স্পিটিতে ৯৯টি রাস্তা বন্ধ। কুল্লু, ছাম্বা এবং কাংড়া অঞ্চলে মোট ৮টি রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সোম-মঙ্গলবার রাজ্যের দুর্যোগ পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হিমাচল প্রদেশের যে জায়গাগুলি ইতিমধ্যেই তুষারপাত ও ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত, সেই সব জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে। রাজ্য জুড়ে হলুদ সংকেত জারি করেছে আইএমডি। আগামী কয়েক দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই হিমালয় রাজ্যের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হতে পারে, এমন আশঙ্কা করছে সরকার।
জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ উপত্যকা ও উত্তরাখণ্ড রাজ্যের একাধিক অঞ্চলেও তুষারপাতের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। আগামী দু-তিন দিনে উত্তর পাঞ্জাব, উত্তর হরিয়ানা ও পশ্চিম রাজস্থানেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজ়োরাম, ত্রিপুরা এবং হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গেও ২১-২৪ এপ্রিলের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া দফতর।
তবে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষের এখনই তাপপ্রবাহের জ্বালা থেকে মুক্তি মিলবে, এমন আশ্বাসবাণী দিতে পারে নি মৌসম ভবন। এখনও পর্যন্ত মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে।
Feature image- NNDC.