ডেস্ক রিপোর্ট: বর্ষার শুরুতেই ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। ধসে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত মঙ্গন জেলা। চুংথাং, লাচুং, লাচেনের অবস্থাও ভাল নয়। মঙ্গন থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। কয়েকটি গ্রাম ভেসে গেছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি মাটি চাপা পড়েছে। রাস্তা ধসে পড়ায় মঙ্গনের একটি অংশের সঙ্গে যোগাযোগও ব্যাহত। সরকারিভাবে হতাহতের কথা এখনও স্বীকার করা হয় নি। তবে হড়পা বানে মঙ্গনে একজনের মৃত্যু ও পাঁচজন নিখোঁজ বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গত বছর অক্টোবরে শেষ বর্ষায় টানা ভারী বৃষ্টি, ধস ও তিস্তায় হড়পা বানে সিকিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভেসে গিয়েছিল। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধসে যাওয়ার সিকিমের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। সেনা জওয়ান, পর্যটক সহ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সেই বিপর্যয়ে। অসংখ্য পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। ২২ হাজারের বেশি মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে ছিলেন। বুধবারের অতিবৃষ্টি, তিস্তায় জলস্ফীতি ও ধস গত অক্টোবরের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে সিকিমবাসীকে
বৃহস্পতিবারও সিকিমে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে প্রশাসন ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছে। বিপজ্জনক এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মঙ্গনে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করতে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।
উত্তর সিকিমে হড়পা বান ও ধসের খবরে সতর্ক পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। কালিম্পংয়ের তিস্তা বাজার এলাকাতেও রুদ্ররূপ ধারণ করেছে তিস্তা। দার্জিলিং -কালিম্পংয়ের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ। উত্তর সিকিমে বন্যার জেরে ডুয়ার্সের নদীগুলিতেও জল বেড়েছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন।
Feature image source: X handle.