জলপাইগুড়ি: বর্ষবরণের রাতে নিজের বাড়িতেই খুন কিশোরী! খুনের আগে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। জলপাইগুড়ি জেলার সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাপাড়ার ঘটনা। বালাপাড়া জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকা। ঘটনার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য শহর জুড়ে।
মৃত কিশোরী দশম শ্রেণীর ছাত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনার সময় বাড়িতে সে একাই ছিল বলে জানা গেছে। ছাত্রীটির দিদি যখন বাইরে, তখন তার মোবাইল একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন করে বলা হয়, ‘তোর বোন ঘরে মরে পড়ে আসে। গিয়ে দ্যাখ।’ দিদি হন্তদন্ত হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। তার আগেই ছাত্রীর পিসেমশাই বাড়িতে পৌঁছে দেখতে পান, ঘরের দরজা ভাঙা। মেঝেতে কিশোরীর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
যেই মোবাইল নম্বর থেকে ফোন এসেছিল মৃতার দিদি সেই নম্বরে কলব্যাক করলে এক যুবক ফোন ধরে। সে জানায়, চারজন রাস্তায় তার কাছ থেকে জোর করে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফোন করেছে। সেই যুবককে গ্রামবাসীরা ডেকে আনলে সে ঘটনায় জড়িতদের নাম বলে দেয়। ধর্ষণ অথবা ধর্ষণের চেষ্টা করার পর ছাত্রীটিকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতের ঘর থেকে একটি মোবাইলও উদ্ধার হয়েছে। ধনঞ্জয় রায় ও গোপাল তন্ত্র সহ এলাকারই চার যুবক ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে।
রবিবার সকালে উত্তেজিত গ্রামবাসী অভিযুক্ত যুবকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ঘটনার পর থেকে চারজনই পলাতক। তাদের পরিবারের বাকি সদস্যরাও গা ঢাকা দেয়। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এই যুবকেরা দীর্ঘদিন ধরেই তার মেয়েকে বিরক্ত করত বলে ছাত্রীটির বাবা জানিয়েছেন। পঞ্চায়েতের সালিশি সভা বসিয়েও কোনও লাভ হয় নি। শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েটিকে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়েই চড়াও হয় এরা। অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভিডিও-
Video and Photo- Reporter.