ডেস্ক রিপোর্ট: প্রযুক্তি, পরিষেবা ও গতি- সব দিক দিয়েই ভারতীয় রেলের খোলনলচে বদলে ফেলতে বদ্ধ পরিকর মোদী সরকার। হাওড়া-এনজেপি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়ে যাওয়ার পর এখন দেশের ছয়টি রুটে চলছে সবোর্চ্চ গতিসম্পন্ন এই ট্রেন। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও একাধিক রুটে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। নতুন বছরে আরও বড় চমক দিতে চলেছে ভারতীয় রেল। সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক এগোলে ২০২৩-এর ১৫ অগাস্ট হরিয়ানার সোনেপত-জিন্দ সেকশনের ৮৯ কিলোমিটার রেলপথে চলবে দেশের প্রথম ‘হাইড্রোজেন ফুয়েল‘ চালিত ট্রেন।
হাইড্রোজেন শক্তি চালিত ট্রেনের ইঞ্জিনে হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনের জেনেরিক নেম ‘হাইড্রেল’। হাইড্রোজেন গ্যাস চালিত ট্রেন থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শূন্য হওয়ায় একে পরিবেশ বান্ধব ট্রেনও বলা চলে। পৃথিবীর প্রথম হাইড্রোজেন চালিত যাত্রীবাহী ট্রেনটি চলেছে জার্মানিতে, ২০২২-এর অগাস্টে। এখন সেই দেশে মোট ১৪টি হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চলাচল করছে। ভারত হচ্ছে পৃথিবীতে দ্বিতীয় দেশ, যেখানে হাইড্রোজেন ট্রেন চালু হতে চলেছে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আগেই জানিয়েছেন, ভারতে হাইড্রোজেন ট্রেন নির্মাণের যাবতীয় কাজ চলছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতেই। চেন্নাইয়ের আইসিএফ বা ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে ভারতীয় রেলের প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানীরা দেশের প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন নির্মাণে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন বহরে ছোট হবে। বগির সংখ্যা হবে ছয় থেকে আট। কিন্তু গতিতে পিছিয়ে থাকবে না। হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার। সব থেকে বড় কথা, হাইড্রোজেন’ ইঞ্জিন চালিত ট্রেন ডিজেল ইঞ্জিন চালিত ট্রেনের থেকে অনেক বেশি সাশ্রয়ী ও দূষণ মুক্ত।
ভারতীয় রেলের প্রধান লক্ষ্য, দেশের প্রায় সমস্ত রেলপথের বিদ্যুতায়ন এবং ডিজেল লোকোমোটিভ একেবারে তুলে দেওয়া। যে সমস্ত দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় রেল লাইন বিদ্যুতায়িত করা সম্ভব নয়, সেই সব এলাকায় ডিজেল লোকোমোটিভের পরিবর্তে হাইড্রোজেন ট্রেন চালু করা। সোনেপত-জিন্দ সেকশনের ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ সফল হলে ২০২৩-এর ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের ২০টি রুটে হাইড্রোজেন ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে রেল মন্ত্রকের।
Feature Image is representational.