ডেস্ক রিপোর্ট :নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ। রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার ঢালাও বেসরকারিকরণ বন্ধ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মী সংকোচন নীতি প্রত্যাহার। কৃষিপণ্যের ন্যায্য বিক্রয়মূল্য নিশ্চিত এবং শ্রম আইনের সংশোধনী থেকে সরে আসা সহ একাধিক দাবিতে ২৮-২৯ মার্চ দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে বিভিন্ন শ্রমিক-কৃষক ও কর্মচারী সংগঠন। সোমবার ধর্মঘটের প্রথমদিনে রাজ্যে মিশ্র সাড়া। বামপন্থী শ্রমিক ও কর্মচারী সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটে সামিল হয়েছে কংগ্রেস প্রভাবিত আইএনটিইউসি’র মতো ট্রেড ইউনিয়নও। মূলতঃ শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনগুলির মুক্তমঞ্চের ডাকা ধর্মঘট হলেও রাজ্যে ধর্মঘটকে বনধের চেহারা দিতে সোমবার সকাল থেকেই পথে নামেন সিপিএম সহ বামপন্থী দলগুলির সদস্যরা।
দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘটে জনজীবন সচল রাখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে সরকারি দফতরে হাজিরা নিয়ে কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। সরকারি অফিস গুলিতে বনধের কোনও প্রভাব পড়ে নি। রাস্তায় সরকারি বাসেরও অভাব নেই। তবে বনধ সফল করতে কলকাতা থেকে জেলা- সর্বত্রই পথে নামতে দেখা গেছে বামপন্থীদের। শিয়ালদহ শাখার বহু স্টেশনে অবরোধের জেরে সকালের দিকে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। বনধের সমর্থনে মিছিল বের করেন বাম দলগুলির কর্মী-সমর্থকেরা। কলকাতায় বামেদের একটি মিছিলের নেতৃত্ব দেন সদ্য সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়া মহম্মদ সেলিম। রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচল আটকানোরও চেষ্টা চালানো হয় কয়েক জায়গায়। অনেক জায়গায় পিকেটারদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ।
রাজ্যের সর্বত্রই দোকান-বাজার, মল এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে সাধারণ ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। অনেক চটকলেই কাজ হয় নি বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে ডুয়ার্স ও দার্জিলিঙের অধিকাংশ চাবাগানেই এদিন স্বাভাবিক কাজ হয়েছে। ব্যাঙ্ক ও বীমা প্রতিষ্ঠানে বনধের প্রভাব সর্বাত্মক। ডাকঘরও পুরোপুরি বন্ধ। সাধারণ ধর্মঘটের প্রথমদিন রাজ্যের কোনও জায়গা থেকেই গোলমালের খবর পাওয়া যায় নি।
ভিডিও-
Photo & Video- Reporter.