কলকাতা : ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার কর্পোরেশনে ভোট হচ্ছেই। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এক গুচ্ছ বিধিনিষেধ চাপালো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে রাজ্যে ফের কোভিড সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে শুরু করায় সোমবার থেকে নতুন করে বিধিনিষেধ লাগু করেছে সরকার। রবিবার নবান্নে মুখ্যসচিব বিধিনিষেধ ঘোষণা করার পর পরই প্রশ্ন ওঠে – এবার কমিশন কী করবে ? সোমবার দফায় দফায় বৈঠকের পর বিকেলে কোভিড পরিস্থিতিতে চার পুরভোট নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিধাননগর-আসানসোল-চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোটে রোড শো, মিছিল পদযাত্রা, সাইকেল মিছিল, বাইক মিছিল, টোটো ও গাড়ি নিয়ে মিছিল নিষিদ্ধ করেছে কমিশন।
ভোট প্রচারে বড় সভার উপরেও লাগাম টেনেছে কমিশন। সর্বাধিক ৫০০ লোক নিয়ে নির্বাচনী সভা করা যাবে খোলা জায়গায়। হলঘরে সভা হলে দুশোর বেশি জমায়েত নয়। বাড়ি বাড়ি প্রচারে প্রার্থী সহ সর্বাধিক পাঁচজন থাকতে পারবেন। প্রার্থীদের নিরাপত্তা কর্মীদের পাঁচ জনের মধ্যে ধরা হয় নি। রাত ৮টার পর প্রচার বন্ধ রাখতে হবে এবং সকাল ৯টার আগে প্রচারে বেরোনো যাবে না। ভোট গ্রহণের ৭২ ঘন্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রচারে বিধিনিষেধ জারি করা ছাড়াও ভোটকর্মী ও ভোটারদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। ভোট গ্রহণের আগের দিন প্রতিটি বুথ স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুথের মধ্যে সকলের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। ভোটারদের মাস্ক পড়ে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে হবে। ভোটকক্ষে ঢোকার আগে প্রত্যেক ভোটারের থার্মাল স্ক্যানিং ও হাত স্যানিটাইজ করা হবে। ভোটকক্ষে প্রবেশের আগেই ভোটারদের গ্লাভস দেওয়া হবে। ভোট কর্মীদের জন্য টিকার ডবল ডোজ বাধ্যতামূলক তবে প্রার্থী ও এজেন্টদের একটি টিকাতেই চলবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি আরও ১০৯টি পুরসভায় ভোট নেওয়ার কথা। তবে বিজ্ঞপ্তি জারির যেই হেতু অনেক দেরি তাই কোভিড পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হলে বাকি ১০৯ পুরসভায় আপাতত নির্বাচন আর নাও হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।
File Photos.