জলপাইগুড়ি : শুয়োরের মড়কে আতঙ্কিত জলপাইগুড়িবাসী । যদিও শুয়োরের মৃত্যুতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। গত কয়েকদিন ধরেই জলপাইগুড়ি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের যত্রতত্র শুয়োর মরে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। দেহগুলি যথা সময়ে অপসারণ না করায় পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে নাগরিকদের অভিযোগ। জলপাইগুড়ি শহর জুড়ে শুয়োরের উপদ্রব বরাবরই। কিন্তু এবার শুয়োর ব্যাপক হারে মরতে শুরু করায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শহরের ৪,৫,১১,১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি কোতয়ালি থানার পেছনে ও সদর হাসপাতাল চত্বরে শুয়োর মরে পড়ে থাকছে ।
![](https://nagariknewz.com/wp-content/uploads/2021/12/IMG_20211206_001816_243.jpg)
ঠিক কী কারণে শুয়োরের মড়ক লেগেছে জানতে মৃত শুয়োরের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রাণীরোগ বিশেষজ্ঞরা। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত কোনও শুয়োরের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় নি বলে জানা গেছে। তবে ” সোয়াইন ফিভার ” শুয়োর মড়কের কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে পুরসভাকে জানিয়েছেন প্রাণী চিকিৎসকেরা। এই নিয়ে মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হতে নাগরিকদের নিষেধ করেছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
রোগ শনাক্তকরণের জন্য মৃত্যুর বারো ঘন্টার মধ্যে মৃত শুয়োরের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। কেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মৃত শুয়োরদের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে সৈকতবাবু বলেন, ” কোন শুয়োর কখন মারা যাচ্ছে পুরকর্মীদের পক্ষে তা জানা সহজ নয় । কিন্তু তারপরেও সুপারভাইজারদের বিষয়টির ওপর নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। ” এই নিয়ে প্রাণী চিকিৎসা দফতর থেকে খানিকটা অভিযোগের সুর শোনা গেলেও দুই দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের কোনও অভাব নেই বলে দাবি করেছেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
ফটো ও ভিডিও- সংবাদদাতা।