আশঙ্কার কারণ হিসেবে সোমবারের বিভিন্ন ঘটনাকে উল্লেখ করেছে সিবিআই । সেদিন সকালে ফিরহাদ হাকিম , সুব্রত মুখোপাধ্যায় , মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসার পর সিবিআই দফতরের ভেতর ধর্নায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই ঘটনাকে আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারের হস্তক্ষেপ হিসেবেই আদালতের সামনে হাজির করতে চাইছে সিবিআইয়ের কৌশুলি । মামলার শুনানির সময় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে উপস্থিত থেকে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ সিবিআইয়ের । আদালতে গোলমাল করায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ।
সিবিআইয়ের পিটিশনের জেরে মামলার শুনানি বেলা বারোটা থেকে পিছিয়ে দুপুর দুটোয় করা হয়েছে । রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব দুই মন্ত্রী সহ চার নেতার গ্রেফতারের ঘটনায় অস্বস্তিতে থাকলেও মোদী-শাহ তাতে খুব বিচলিত বলে মনে হচ্ছে না । সিবিআই চাইছে ধৃতদের জামিনের সম্ভাবনা নষ্ট করে দিয়ে মামলাটি ভিন রাজ্যে সরিয়ে নিতে । আদালত সিবিআইয়ের এই আর্জি মঞ্জুর করলে ধৃত চারজনকেই রাজ্যের বাইরের জেলে স্থানান্তর ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না । তবে রাজ্য সরকারের তরফে ধৃতদের জামিনের চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না । অভিষেক মনু সিংভি , সিদ্ধার্থ লুথরার পাশাপাশি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল করার কথা । এরপরেও হাইকোর্ট থেকে খালি হাতে ফিরতে হলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের পথ পরিস্কার করে রেখেছে রাজ্য সরকার । তবে বসে নেই সিবিআইও । অভিযুক্তরা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে এমন আঁচ পেয়েই আগাম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা । এখন বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষার পালা । তবে নারদা মামলা নিয়ে সিবিআই কার নির্দেশে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছে তা অনুমান করতে অসুবিধা হচ্ছে না রাজনৈতিক মহলের ।