জলপাইগুড়িতে এসে আইন বাঁচিয়ে অভিষেককে খোঁচা সায়ন্তন বসুর || বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ডেও রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন বিজেপি নেতা - nagariknewz.com

জলপাইগুড়িতে এসে আইন বাঁচিয়ে অভিষেককে খোঁচা সায়ন্তন বসুর || বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ডেও রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন বিজেপি নেতা


প্রদ্যুত দাস ,জলপাইগুড়ি,১৪ জানুয়ারি : আইনি ঝামেলা এড়াতে ইদানিং তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের নাম মুখে আনছেন না বিজেপির নেতারা । এ নিয়ে খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ সহ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেও নাম না করেই ডায়মন্ডহারাবারের সাংসদকে আক্রমণ করার নীতিকেই বহাল রাখছেন দিলীপ ঘোষরা । বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে এসে নামের প্রথমাংশ মুখে এনে  হাজি মাস্তানের সঙ্গে তুলনা করেও শেষে পদবিটা উহ্য রেখে আইন বাঁচালেন সায়ন্তন বসু । 

কটাক্ষ করলেন কিনতু নাম অসম্পূর্ণ রেখে আইন বাঁচালেন সায়ন্তন বসু

দলের কৃষি সুরক্ষা অভিযানে অংশ নিতে এদিন জলপাইগুড়িতে আসেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ঝাঁ বাড়ি মোড় এলাকায় দলের মুষ্টি কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে যথারীতি নাম না করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন সায়ন্তন বসু । সায়ন্তন বসু বলেন, এখন আর হাজি মাস্তানের নাম বলছে না লোকজন । মুম্বাইয়ের ডকে যান লোকে বলবে উধার এক ডন হ্যায় , মাস্তান হ্যায় , স্মাগলার হ্যায় । অভিষেক মাস্তান । সাংবাদিকদের অনেক পীড়াপীড়িতেও পদবি বলেন নি বিজেপি নেতা । আইনি ঝামেলা এড়াতেই সায়ন্তনবাবু লক্ষ্যবস্তুর পদবি চেপে যান বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা । 

নবাগতদের হাতে পতাকা তুলে দিচ্ছেন সায়ন্তন বসু

কলকাতার বাগবাজারে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনাতেও প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সায়ন্তন বসু । দমকল ঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আগুন এত বিধ্বংসী হত না বলে মনে করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মন্ত্রীদের সাইরেন মিনিস্টার বলে কটাক্ষ করেন সায়ন্তনবাবু । বাগবাজার বস্তির অগ্নিকাণ্ড ষড়যন্ত্রমূলক‌ হতে পারে বলেও অনুমান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের ।

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে  বিজেপির কৃষি সুরক্ষা 

দলের কৃষি সুরক্ষা অভিযানের সভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের কৃষকদের দুরাবস্থার জন্য তৃণমূল সরকারকে অভিযুক্ত করেন সায়ন্তন বসু । সায়ন্তন বসু বলেন, ‘রাজ্যের কৃষকেরা ঋণভারে জর্জরিত ‌। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের রক্ষা করতে অক্ষম । কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রত্যেক কৃষককে কৃষক সম্মান নিধি যোজনায় তিন বছর ধরে বছরে ছয় হাজার টাকা করে দিলেও পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত । কারণ রাজ্য সরকার কৃষকদের নাম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠায় নি ।’


ভিডিওতে দেখুন –



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *