জলপাইগুড়ি : রাজ্যের সব সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ক্লাস এইট পর্যন্ত ইউনিফর্মের রঙ এক- নীলসাদা। গত মার্চে জারি করা বিজ্ঞপ্তি সম্প্রতি কার্যকর করতে শুরু করেছে শিক্ষা দফতর। সরকারের সিদ্ধান্ত শোনার পর থেকেই তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। যদিও নীলসাদা ইউনিফর্মের সিদ্ধান্তে অনড় সরকার। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন স্কুলে নীলসাদা পোশাক বিতরণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। যদিও প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরতে নারাজ জলপাইগুড়ি প্রাক্তনী সম্মিলনী। মঙ্গলবার শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফনীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউটশনের সামনে নীলসাদা ইউনিফর্ম চালুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক মহল ও প্রাক্তনী সম্মিলনীর সদস্যরা।
ইউনিফর্ম দিয়েই স্কুলের পড়ুয়াদের চিহ্নিত করতে অভ্যস্ত সবাই। স্কুলের পোশাকের সঙ্গে স্কুলের ঐতিহ্য জড়িয়ে। শতবর্ষ প্রাচীন এফডিআই-এর ছাত্রদের পোশাক খাকি প্যান্ট-সাদা শার্ট। দেড়শো ছুঁই ছুঁই জেলা স্কুলের পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম কালো প্যান্ট-সাদা শার্ট। সরকারি ফর্মানের জেরে স্কুল ইউনিফর্ম থেকে বৈচিত্র্য উঠে যাওয়ার পথে। এই নিয়েই আপত্তি অভিভাবক ও বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীদের। এদিন জোর করে ছাত্রদের ব্যাগে এফডিআই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিশ্ববাংলার লোগো প্রিন্ট করা নীলসাদা পোশাক ঢুকিয়ে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকেরা। স্কুল সংলগ্ন বড় ডাকঘর মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জলপাইগুড়ি প্রাক্তনী সম্মিলনীর সদস্যরাও।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ব্যস্ত সময়ে অবরোধের জেরে যানজট তৈরি হয়। প্রাক্তনী সম্মিলনীর নেতা শৌভিক কুন্ডা বলেন, “আমরা এর আগে একাধিক বার আন্দোলন করেছিলাম। স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে অনেক বার। কিন্তু কাজ হয়নি। এখন সব স্কুলে স্কুলে স্কুলের পোশাক পরিবর্তন করার প্রতিবাদ চলছে। আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে। দ্রুত স্কুলের পোশাকছর রঙ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত সরকারকে বাতিল করতে হবে।”
ভিডিওতে দেখুন-
Video & Photo- Reporter.