ডেস্ক রিপোর্ট: ১৯ এপ্রিল কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি দিয়ে বাংলায় সাত দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু। রাজবংশী জনগোষ্ঠী ও জনজাতি অধ্যুষিত এই তিন আসনেই উনিশে বাজিমাত করেছিল বিজেপি। চব্বিশেও উত্তরবঙ্গে দলের এই তিন গড় অক্ষত রাখতে মরীয়া পদ্ম শিবির। যে কোনও মূল্যে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি ধরে রাখতে হবে- বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কাছে এমনই নির্দেশ এসেছে দিল্লির দীনদয়াল ভবন থেকে। এমনিতেই বাংলা থেকে কমপক্ষে ২৮ সিটের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ থেকে জেতা ছয় আসনের একটিও হাতছাড়া করতে চায় না বিজেপি। উপরন্তু মালদহ দক্ষিণেও পদ্ম ফোঁটাতে চান অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী কতটা ব্যস্ত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপরেও প্রথম দফার ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে তিনটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
৪ এপ্রিল কোচবিহারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র এবং ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের হয়ে সভা করার কথা মোদীর। কোচবিহার শহরের রাসমেলার মাঠে এই সভা হবে বলে জানা গেছে। জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে এবার প্রার্থী বদল করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় অনগ্রসর কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জন বার্লাকে সরিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে মনোজ টিগ্গাকে। মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ বিধানসভায় বিজেপির চিফ হুইপ। কোচবিহারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী টিগ্গার হয়েও ভোট চাইবেন বলে বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে। মনোজ টিগ্গার হয়ে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে অমিত শাহেরও পৃথক সভা করার কথা রয়েছে।
তিনদিন পর ৭ এপ্রিল ফের উত্তরবঙ্গে প্রচারে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। সেদিন বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হয়ে সভা করেই জলপাইগুড়িতে চলে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় দফায় আগামী ২৬ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট, রায়গঞ্জ ও দার্জিলিংয়ে ভোটগ্রহণ। ৭ এপ্রিল বিকেলে জলপাইগুড়িতে জনসভায় ভাষণ দেবেন মোদী। জলপাইগুড়ি শহরে একটি রোড শো করারও কথা রয়েছে মোদীর। জলপাইগুড়িতে মোদীর কর্মসূচিতে পাশের জেলা আলিপুরদুয়ার থেকেও ব্যাপক জনসমাগম হবে বলে জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ কোচবিহারের পর জলপাইগুড়িতেও মোদীর কর্মসূচির লাভ তোলার সুযোগ পাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী।
দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে মোদীর কোনও কর্মসূচি আছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মোদীর এই তিন কর্মসূচিতেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে পদ্মের ঝড় উঠবে বলে আশায় আছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।
Feature graphic is representational and created by NNDC.