ডেস্ক রিপোর্ট: কোচবিহার জেলার সিতাই ব্লকের কৈমারীর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দুই বাংলাদেশী গরু পাচারকারীকে বুধবার ভোরে গুলি করে মারল বিএসএফ। উল্টোদিকে বাংলাদেশের লোহাকুচি গ্রাম। বাংলাদেশী পাচারকারীদের একটি দল শেষ রাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকে। গরু নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কর্তব্যরত বিএসএফ-এর ৭৫ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের নজরে পড়ে যায় তারা। বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা জওয়ানদের উপর হামলা করার চেষ্টা করলে কৈমারী বত্তর ক্যাম্পের জওয়ানরা গুলি চালান। গুলিতে দুই পাচাকারী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বাকি পাচারকারীরা তড়িঘড়ি দু’জনের লাশ তুলে নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চম্পট দেয়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে মৃত গরু পাচারকারীদের নাম জানা গেছে। নিহতদের একজন বছর তিরিশের ওয়াসকুরুনী হোসেন, অপরজন ২৮ বছরের আয়নাল হক। ওয়াসকুরুনীর বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষতুলি গ্রামে। আয়নাল থাকত পাশের ঝাড়িরঝাড় গ্রামে। এরা যে ভারত থেকে গরু চোরাচালানের কাজে যুক্ত ছিল, তা অস্বীকার করে নি বাংলাদেশের মিডিয়া। মৃত দু’জনের গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা মেনে নিয়েছেন বিজিবির লালমনিরহাট-১৫ ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডেন্ট এসএম তৌহিদুলও।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে অনেকেই গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। সীমান্তের এই পারেও পাচারচক্র সক্রিয়। অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েই গরু পাচার বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নেন। সীমান্তে পাচার ও অনুপ্রবেশ বন্ধে বিএসএফ-এর কাজের পরিধিও বাড়ানো হয়েছে। গরু পাচার রোধে বিএসএফ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করার পর থেকেই সীমান্তে বাংলাদেশী পাচারকারীরা তেমন সুবিধা করে উঠতে পারছে না। ভারত-বাংলাদেশের যে সীমান্তগুলি গরু পাচারের জন্য কুখ্যাত, তার মধ্যে সিতাই একটি। এর আগেও সিতাই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী পাচারকারীদের মৃত্যু হয়েছিল।
Feature Image is representational.