নিজস্ব সংবাদদাতা : জলপাইগুড়ি পুরসভার ভোটে বাম-কংগ্রেস হাত মিলিয়ে লড়লেও আলাদা আলাদা ইস্তেহার প্রকাশ করেছে দুই শিবির। কংগ্রেসের ইস্তেহার আগেই প্রকাশিত হলেও রবিবার ইস্তেহার বের করল বামফ্রন্ট। সিপিএমের জেলা দফতরে ইস্তেহার প্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বামফ্রন্টের নেতারা। এবার বাম ও গণতান্ত্রিক জোট জলপাইগুড়িতে পুরবোর্ড গঠন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সলিল আচার্য।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টিতে বাম ও ৯টিতে কংগ্রেস ভাগাভাগি করে লড়ছে। প্রচারে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। ইস্তেহারেও দুর্নীতি নিয়ে সরব বামফ্রন্ট। জিতলে দুর্নীতি মুক্ত পুরবোর্ড গঠন করা হবে বলে বাম ইস্তেহারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ইস্তেহারে স্বচ্ছতার সঙ্গে আম্রুত প্রকল্পের বাস্তবায়ন করে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পরিষেবা। হাউস ফর অল প্রকল্পের উপভোক্তাদের বাড়িতে বিনা মূল্যে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া। দিবারাত্রি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ এবং শুয়োর ও জঞ্জাল মুক্ত শহর গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বামফ্রন্ট।
পাহাড় সমান দুর্নীতির জেরে জলপাইগুড়ির নাগরিকেরা পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সলিল আচার্য। আম্রুত প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ সলিলবাবুর। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভায় কাজ না করেই ঠিকেদারের বিল পাশ হয়ে যায় বলে কটাক্ষ করেন জেলা সিপিএমের সম্পাদক। তৃণমূলের পুরবোর্ড নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করে জলপাইগুড়িবাসীদের জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতেও ব্যর্থ বলে অভিযোগ বামেদের।
২৭ ফেব্রুয়ারি পুরভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে সংশয়ে বাম নেতৃত্ব। বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা করতে দেওয়া হয় নি। সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি উল্লেখ করে সলিল আচার্য বলেন, গোটা রাজ্যের মতোই জলপাইগুড়িতেও গণতন্ত্র নেই।