ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের তলব পেয়েই আগে এসএসকেএম-এ গিয়ে উঠেছিলেন অনুব্রত। এবার কী করেন,এটাই দেখার।
ডেস্ক রিপোর্ট : সাঁইথিয়া পুরসভা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলকে পাইয়ে দিয়েছেন। বোলপুরেও মনোনয়ন জমা দেওয়ার মিছিলে অনুগামীদের হাতে হকির স্টিক তুলে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন ২৭ ফেব্রুয়ারি কেমন ভোট চান তিনি। তবে এ’সবই বুধবারের ছবি। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল সিবিআইয়ের তলব পেতেই ফের খানিকটা চুপসে গেলেন বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল। জানা গেছে গরু পাচারের মামলায় অনুব্রতকে জেরা করতে চায় সিবিআই।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ইলামবাজাররে এক বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায়ও অনুব্রতকে কাছে পেতে চায় সিবিআই। এই মামলায় হাইকোর্টের রক্ষাকবচের জেরে আপাতত খানিকটা স্বস্তিতে আছেন কেষ্ট। যদিও সিবিআই তিন নম্বর বার তলব করতেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির। এরপর দেরি না করে এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে গিয়ে ওঠেন তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই এখনই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না- হাইকোর্ট থেকে এমন নির্দেশ আসার পরই ফের চাঙ্গা হয়ে নিজের গড়ে ফিরে গিয়ে স্বমূর্ত্তি ধারণ করেন অনুব্রত।
গরু পাচারের মামলায় অনুব্রতকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান বলে সূত্রের খবর। গরু পাচারকান্ডে তৃণমূলের সাংসদ তথা অভিনেতা দেবকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে সিবিআই। দেবকে ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজাম প্যালেসে ডেকেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দেবকে জেলা করার আগেই গরু পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে অনুব্রতের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জেনে নিতে চান সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের জেরা থেকে বাঁচতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও আদালতের শরণাপন্ন হয়ে গ্রেফতার এড়াতে পারলেও জেরা এড়াতে পারেন নি তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতা। তদন্তের কাজে সিবিআইকে সব রকমের সহযোগিতা করতে অনুব্রতকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গরু পাচারকান্ডে সিবিআইয়ের তলব পাওয়ার পর এসএসকেএম-এর উডবার্ন ব্লক না হাইকোর্টের অলিন্দ- অনুব্রত কোনখানে আগে পৌঁছান এখন এটাই দেখার। গরু পাচারকান্ডে সিবিআইয়ের তলব পাওয়ার পর থেকেই অনুব্রতের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারছেন না সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা যদিও বলছে ভোট এলেই কেষ্টদার পেছনে পড়ে কেন্দ্র।
Feature Image is symbolic.