জলপাইগুড়ি : রাজ্যে পানশালার সরকার চলছে, পাঠশালার সরকার চলছে না। এমনই অভিযোগ বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়- রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা বন্ধ। করোনার অজুহাতে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও মেলা-খেলা-সভা-সমাবেশ সব চলছে। খোলা দোকান-বাজারও। প্রতিবাদে আন্দোলনে নামল বাম ছাত্র-যুবরা। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি শহরের ডিবিসি রোডে কমার্স কলেজের প্রবেশ পথে প্রতীকি ক্লাসেরও আয়োজন করল এসএফআই।
রাস্তায় বসেই ক্লাস করেন এসএফ।আইয়ের সদস্যরা। অনলাইনের মাধ্যমে পড়ালেখা আর নয় এবার চক-ডাস্টার-ব্ল্যাকবোর্ড আর ক্লাসরুম ফিরিয়ে দাও – এই হচ্ছে বাম ছাত্র সংগঠনের দাবি। রাজ্যের ৮০ শতাংশ পড়ুয়া নানা কারণে অনলাইন ক্লাসের সুযোগ নিতে পারছে না বলে এসএফআই নেতাদের অভিযোগ। পরিস্থিতিও একই কথা বলছে। পড়ালেখা লাটে তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রদের ভবিষ্যত গোল্লায় পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে এসএফাআইয়ের অভিযোগ। স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে সরকার সুনির্দিষ্ট কোনও আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হলে আগামী ৩১ জানুয়ারি বাম ছাত্র সংগঠনগুলি রাজ্য ব্যাপী বড় কর্মসূচি নেবে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার একই দাবিতে রাজ্য জুড়ে ধর্নায় বসার পাশাপাশি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করল অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি। জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা মোড়ে ধর্নায় বসেন সেভ এডুকেশন কমিটির সদস্যরা। সেভ এডুকেশন কমিটির জেলা সম্পাদক দেবাশীষ সাহা বলেন, অবিলম্বে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে সরকারকে। বিয়েবাড়িতে দুশো লোককে ভোজ খাওয়ার অনুমতি দেওয়া গেলে ক্লাসরুম খুলে দিয়ে পড়ালেখা চালু করতে অসুবিধা কোথায় – সরকারের কাছে জানতে চান দেবাশীষবাবু।
Video and photos- Reporter.