কমিশনের নির্দেশ । |
কোভিড পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোট করতে না পারায় কলকাতা কর্পোরেশন সহ রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড বসায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর । সরকারি আইন অনুযায়ী এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক আধিকারিকদেরই প্রশাসক পদে বসানোর নিয়ম থাকলেও তা মানা হয় না । মেয়াদোত্তীর্ণ পুরবোর্ড গুলির চেয়ারম্যানদেরই প্রশাসক বোর্ডের প্রধান বানিয়ে দেয় সরকার । শুধু তাই নয় প্রশাসক বোর্ড গঠন করে মেয়াদোত্তীর্ণ বোর্ডের সদস্যদেরও তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
বিরোধীদের অভিযোগকেই মান্যতা দিল কমিশন । |
শিলিগুড়ি সহ গুটিকয়েক পুরসভা ব্যতীত অধিকাংশ পুরসভা তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তৃণমূলের লোকেরাই একের পর এক পুরসভার প্রশাসক পদে আসীন হন । নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই এ নিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল বিরোধীরা । বিরোধীদের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সবকটি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অপসারণের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন ।
বিরোধীদের অভিযোগ, ভোট করার মতো পর্যাপ্ত সময় পাওয়ার পরেও ইচ্ছাকৃত ভাবে কলকাতা কর্পোরেশন সহ শতাধিক পুরসভায় নির্বাচন আটকে রাখে রাজ্য সরকার । এ নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে ।