পলিটিক্যাল ডেস্ক: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে দলের শোচনীয় পরাজয়ের জন্য কি আমলাদের শাস্তি দিচ্ছে তৃণমূল? সাগরদিঘি উপনির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সহ চার আমলাকে বদলির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। নবান্নের নির্দেশে চার আধিকারিকের বদলির খবর শুক্রবার জানা গেছে। শাসকদল বিষয়টিকে রুটিন বদলি বলে দাবি করলেও তাতে কান দিচ্ছেন না বিরোধীরা।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত চার অফিসারকে একসঙ্গে বদলির নির্দেশ রুটিন বদলি নয় বলেই বিরোধীদের অভিযোগ। বরং তৃণমূলের হারের শাস্তি হিসেবে ওই চার আমলাকে বদলি করা হল বলেই মনে করছেন তাঁরা। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের দায়িত্বে থাকা চার আমলাকে বদলির ধরণ দেখে রাজনৈতিক মহলের সন্দেহ, হয়তো কোনও উষ্মা থেকেই তাঁদের বদলি করল নবান্ন। তবে কি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই বদলি হতে হল চারজনকে?
দিব্যেন্দু মজুমদার ছিলেন সাগরদিঘি উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার। দিব্যেন্দুবাবুকে মুর্শিদাবাদ জেলার উপ ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের পদ থেকে সরিয়ে বর্ধমান জেলা পরিষদের উপ সচিব পদে বদলি করা হয়েছে। বদলির তালিকায় আছেন মুর্শিদাবাদ জেলার তিন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকও। সাগরদিঘির বিডিও সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নদিয়ার কল্যাণীর পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ওএসডি করে পাঠানো হয়েছে। রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের বিডিও সৌরভ বসুকে দার্জিলিংয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শমসেরগঞ্জের বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডাকে কার্শিয়াঙে যেতে বলা হয়েছে।
দিব্যেন্দু মজুমদারের পাশাপাশি এই তিন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকও সাগরদিঘি উপনির্বাচনের কোনও না কোনও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের বদলির ধরণই সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরোধী নেতাদের। সদ্য নির্বাচিত সাগরদিঘি কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস বলেছেন, “ভোটে শাসকদলের হারের কারণে এনাদের বদলি করা হয়ে থাকলে সরকার নিঃসন্দেহে একটা খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি করল।”
৬৮ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে কংগ্রেসের কাছে হেরেছে তৃণমূল। কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসকে সমর্থন করেছিল বামেরা। রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছিল। সাগরদিঘিতে ১৬ শতাংশ ভোট খুইয়েছে তৃণমূল। সেই রাগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার অফিসারকে বদলির নির্দেশ দিলেন কিনা, এটাই এখন প্রশ্ন।
Feature photo is representational.