পুরসভা দখলের পর তপন কান্দুর প্রতিকৃতি নিয়ে ঝালদায় কংগ্রেসের বিজয় মিছিল
ঝালদা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ধাক্কা খেল তৃণমূল। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হল শাসকদলের। ঝালদা পুরসভা সংবাদ শিরোনামে আসে নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর সূত্রে। গত ১৩ মার্চ রাতে ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে মারে দুষ্কৃতীরা। সোমবার আস্থাভোটে জিতে তপন কান্দুর সেই ঝালদা পুরসভা দখল করল কংগ্রেস।
১২ সদস্যের ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসের আসন পাঁচ। তৃণমূলেরও পাঁচ। দু’জন নির্দল হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন। ভোটের পরেই ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেন। গত মাসে ঝালদা পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। প্রস্তাবের পক্ষে ছিলেন এক নির্দল কাউন্সিলরও। এর পরেই তৃণমূল ত্যাগ করেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। সোমবার ছিল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের আস্থা প্রমাণের দিন। কিন্তু হার নিশ্চিত বুঝে পুরপ্রধান সহ তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর পুরসভা মুখো হন নি। দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে এখন ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ।
পুরভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠনকে ঘিরে টানাপোড়েন। এর মাঝেই ১৩ মার্চ রাতে খুন হয়ে যান কংগ্রেসের জনপ্রিয় নেতা তপন কান্দু। তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ওঠে। হাইকোর্টের নির্দেশে খুনের তদন্তভার নেয় সিবিআই। উপনির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো মিঠুন কান্দু। প্রয়াত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুও অন্য একটি ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত কাউন্সিলর।
ঝালদা বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। পুরভোটের বছর ঘোরার আগেই ঝালদা পুরসভা তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পুরুলিয়া জেলা তো বটেই গোটা রাজ্যেই এই ঘটনা কংগ্রেসকে উজ্জীবিত করবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর প্রয়াত তপন কান্দুর প্রতিকৃতি নিয়ে ঝালদা শহরে বিজয় মিছিল বের করেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। এই জয় প্রিয় নেতাকেই উৎসর্গ করেছেন তাঁরা।
Photo Credit- Jhalda Town Block Congress Committee.