জলপাইগুড়ি :দিন কয়েক হল জলপাইগুড়ি পুরসভায় বড় ঘোটালার কানাঘুষো। পুরসভার এক আধিকারিকের ( বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত )মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এই নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর কিম্বা তদন্ত তো দূরের কথা পুরসভার তরফে কোনও সাড়াশব্দ পর্যন্ত নেই। বুধবার অবিলম্বে কথিত দুর্নীতির তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিল জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি।
জেলা বিজেপির সভাপতি বাপী গোস্বামীর অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা ও কাউন্সিলরেরা পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে জনগণের কোটি কোটি টাকা মেরে খেয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতির পরের অভিযোগটি আরও মারাত্মক। তিনি বলেন,যে আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তাকে শহর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের গা বাঁচাতেই শাসকদলের নেতারা মূল অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ির বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেন বাপী গোস্বামী। পুরসভায় সরকারি খাতের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠার পরেও পুর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয় নি বলে বিজেপির অভিযোগ। এই দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হলে তৃণমূলের বহু নেতা জেলে যাবে। কারণ টাকার ভাগ তারাও পেয়েছে। তাই পুরসভা ও জেলা প্রশাসন চুপচাপ। এমনটাই মনে করেন বাপী।
বাপী গোস্বামীর নেতৃত্বে জেলা বিজেপির প্রতিনিধি দলটি এদিন জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও বিমুখ হন। বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ, জেলা শাসক বিজেপির প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হতে ভয় পান। বিজেপির প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান যূথিকা রায় বাসুনিয়া, জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পলেন ঘোষ এবং বিজেপি নেতা বুবাই কর।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন,” প্রশাসন কী পদক্ষেপ করে আমরা আট-দশদিন দেখব। এরপর দুর্নীতির তদন্ত এবং জড়িত সকলের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা শাসকের দফতরের বাইরে দলের সবাইকে নিয়ে অবস্থানে বসব।”
ভিডিও-
Photo and Video- Reporter.