আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পাকিস্তানের সবথেকে পুরোনো সামরিক ঘাঁটি পাঞ্জাবের শিয়ালকোটে শনিবার সকাল থেকেই ধুন্ধুমার কান্ড। পাক সেনার মিডিয়া উইং যদিও দাবি করছে ফৌজের অস্ত্রাগারে আগুন লাগা থেকেই বিস্ফোরণ। কিন্তু স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলি অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছে। সকাল এগারোটা নাগাদ শিয়ালকোট শহর মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। শহরের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার আকাশে আগুনের গোলাও দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার ভিডিও ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন অনেকেই।
পাকিস্তানের সেনা কর্তৃপক্ষের দাবি, শর্টসার্কিটের কারণে অস্ত্রাগারে আগুন লেগে যায়। ছাউনির সেনারা অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে অল্প সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামান্য। কিন্তু স্থানীয় অনেক সংবাদমাধ্যমের সন্দেহ আগুন নয় নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই শিয়ালকোটের সামরিক ঘাঁটিতে পর পর জোরালো বিস্ফোরণ। সদ্য চিন থেকে কেনা জে১০-সি বিমান কিনেছে পাকিস্তান। সেই বিমান থেকে পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে গিয়েই এই বিপত্তি বলে জানা গেছে।
পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ীই শিয়ালকোটের আকাশে জে১০-সি বিমান থেকে এয়ার টু এয়ার পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করার কথা ছিল শনিবার। সেই ক্ষেপণাস্ত্রই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সেনাছাউনির অস্ত্রাগারে আঘাত করেছে বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলির জোরালো সন্দেহ। কিছুদিন আগেই জলন্ধর সীমান্তে পরীক্ষার সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি মিশাইল দিগভ্রষ্ট হয়ে পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে পড়ে। ফাঁকা জায়গায় মিশাইলটি পড়ায় কোনও জীবন বা সম্পত্তি হানির ঘটনা ঘটে নি। ঘটনায় পাকিস্তানের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শিয়ালকোটের ঘটনা জানাজানি হতেই উপমহাদেশের নেটিজেনরা বলা শুরু করে দিয়েছে- ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র তবু পথ ভুলে পাকিস্তানে গিয়ে পড়ে। কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ভুল করে পাকিস্তানেই পড়ে। পাক সেনা চেপে গেলেও বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখে বড় রকমের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের শঙ্কা।
ভিডিও ( সৌজন্য -ওয়ান ইন্ডিয়া )-
Photo & Video credit- Twitter/ Oneindia English ( Youtube ).