কলকাতা : ইতিহাসের পাঠ্যবইয়ে নেতাজিকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি দেওয়া যায় কিনা সিলেবাস কমিটিকে তা বিবেচনা করতে বলবে রাজ্য সরকার। সোমবার এমনই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে প্রবাসী আজাদ হিন্দ সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এই সূত্র ধরে নেতাজিকেই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন অনেকেই। সম্প্রতি এই দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূলও।
সোমবার সাংবাদিকদের সামনে ব্রাত্য বসু বলেন, ” ১৯৪৩ সালে নেতাজি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। মাথায় রাখতে হবে সেই সময় ছিল অখন্ড ভারতবর্ষ। পরাধীন অখন্ড ভারতবর্ষ। উপনিবেশকালে এটি তিনি গঠন করেছিলেন। নিজের ক্যাবিনেট গঠন করেছিলেন নেতাজি। ঘটনাটিকে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বা সময়কালীন কোনও প্রেক্ষিত আছে কিনা সেটা সিলেবাস কমিটিকে আমরা বিবেচনা করে দেখতে বলব। “
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণাটিকে স্বাগত জানিয়েছে শাসক তৃণমূল। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও একই দাবি জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কেন নেতাজিকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি দিল না তার জবাব চেয়েছেন কুণাল। নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের সমাধানেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আগ্রহী নয় বলে তৃণমূলের অভিযোগ। কলকাতার রেড রোডে নেতাজি জন্মোৎসবের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ” রাজ্যের হাতে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত সমস্ত ফাইল প্রকাশ করে দিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সব গোপন নথি সামনে আনছে না কেন ? “
Photo Credit – Archives and Bratya Basu official FB page.