ভারতীয় জলসীমার এতটা গভীরে কেন ঢুকেছিল পাকিস্তানি নৌকা ?মুম্বাই হামলার পর থেকেই পশ্চিম উপকূল নিয়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক দেশের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। পাকিস্তানি মৎস্যজীবীরাও বিশেষ সুবিধার নয়। মাছ ধরার আড়ালে মাদক পাচারেও জড়িত থাকে এদের অনেকেই।
ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতীয় জলসীমার ১১ কিলোমিটার ভেতরে পাকিস্তানি নৌকা আটক করল উপকূলরক্ষী বাহিনী। নৌকার সওয়ারি ১০ পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে গুজরাটের সমুদ্রোপকূলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে। আরব সাগরের ভারতীয় জলসীমার ভেতরে একটি নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় নৌকাটির পিছু নেয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর টহলদারি বোট। পালানোর চেষ্টা করেও সফল হয় নি নৌকাটি। ধাওয়া করে নৌকাটিকে আটক করেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। পাকিস্তানি নৌকাটির নাম ইয়াসিন। নৌকায় দশজন আরোহী ছিল। এরা সকলেই পাকিস্তানি। ভারতীয় জলসীমার ১১ কিলোমিটার গভীরে কেন নৌকাটি ঢুকল এর কোনও সদুত্তর পাকিস্তানিরা দিতে পারে নি। নৌকা শুদ্ধ পাকিস্তানিদের গ্রেফতার করে গুজরাটের পোরবন্দরে নিয়ে আসে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
অনেক সময় ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের মৎস্যজীবীদের নৌকাই ভুল করে প্রতিবেশী দেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ে। ধৃত দশ পাকিস্তানি মৎস্যজীবী নয় বলেই তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান। কী উদ্দেশ্যে এরা ভারতীয় জলসীমার এতটা ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছিল তা জানতে ধৃতদের জেরা করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। মুম্বাই হামলার পর থেকেই দেশের পশ্চিম উপকূল নিয়ে সতর্ক নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। করাচি হয়ে মাদক ও অস্ত্র পাচারের জন্যও গুজরাটের উপকূল অঞ্চলকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে পাকিস্তানি জঙ্গি ও পাচারকারীরা।
বারে বারেই গুজরাট উপকূলের আরব সাগরে পাকিস্তান থেকে পাচার হওয়া মাদক বোঝাই নৌকা ধরা পড়ে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর গুজরাট উপকূল থেকে ১২ জন পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করে ভারতীয় কোস্টগার্ড। পাকিস্তানি মৎস্যজীবীরাও বিশেষ সুবিধার নয় । মাছ ধরার আড়ালে সুযোগ পেলেই এরা মাদক পাচার করে। গত ২০ ডিসেম্বর ভারতীয় জলসীমায় পাকিস্তানি মৎস্যজীবীদের একটি নৌকা আটক করে ৭৭ কেজি মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর যৌথ দল ।
Photo Credit – Twitter of Defence PRO.