প্রদ্যুৎ দাস , জলপাইগুড়ি , ২৫ নভেম্বর : বৃহস্পতিবার ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও বিভিন্ন সরকারি এবং রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার কর্মচারী সংগঠন , ব্যাঙ্ক ও বীমা কর্মচারী ও আধিকারিকদের সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের ডাকে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট। শ্রমিক -কৃষক-কর্মচারী সংগঠন গুলির দ্বারা এই ধর্মঘট ডাকা হলেও একে ভারত বনধের চেহারা দিতে মরীয়া বামপন্থী দলেরা । ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় কংগ্রেসও।
কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া শ্রম ও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সাত দফা দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট ডাকা হলেও এই ধর্মঘটে সায় নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। ধর্মঘটের দিন জনজীবন সচল রাখতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার । স্বাভাবিক ভাবেই ধর্মঘটের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূল প্রভাবিত বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ধর্মঘট সফল করতে শেষবেলায় জোরদার প্রচার চালিয়েছে বাম দল গুলি ।
বনধের সমর্থনে মশাল মিছিল |
বুধবার সন্ধ্যায় সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে জলপাইগুড়ি শহরে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল সামনে রেখে মশাল মিছিল করল সিপিএম সহ বামফ্রন্টের বাকি শরিকেরা । মিছিলে সামিল ছিলেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরাও। শহরের বড় ডাকঘর থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। মিছিল থেকে সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য জিয়াউল আলম বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা শাসক দলের কাজ নয়। নরেন্দ্র মোদীর নয়া উদারবাদী অর্থনীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ক্ষোভ জমেছে । নরেন্দ্র মোদীকে রাষ্ট্রের সম্পদ এবং রাষ্ট্রায়ত্ব সম্পত্তি বিক্রি করার কোনও অধিকার দেশের মানুষ দেয় নি ‘। সাত দফা দাবিতে বনধ সফল করতে মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
বনধের সমর্থনে বাম-কংগ্রেসের মিছিল |
অন্যদিকে বনধ বিরোধীতায় সন্ধ্যায় শহরে পথসভা করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসিও । শান্তিপাড়ায় এনবিএসটিসির ডিপোর সামনে তৃণমূল প্রভাবিত পরিবহণ শ্রমিকদের সভায় ভাষণ দেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি মিঠু মোহন্ত। মিঠু মোহন্ত বলেন , ‘৩৪ বছরের বাম শাসনে শিল্পক্ষেত্র নৈরাজ্যের পাশাপাশি কর্মসংস্কৃতির বারোটা বেজে ছিল। তৃণমূলের আমলে কর্মসংস্কৃতি ফিরে এসেছে । শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ আসছে। সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের স্বার্থেই বৃহস্পতিবার বাংলাকে সচল রাখা দরকার ‘ । সাধারণ ধর্মঘটে জনজীবন সচল রাখতে প্রশাসন জেলা জুড়ে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে বলে জানা গেছে।
শান্তিপাড়ায় তৃণমূলের বনধ বিরোধী সভা |
ছবি/ভিডিও -নিজস্ব