মলদ্বারে দেড় ফুটের লাউ! বের করে ষাটোর্ধ্ব কৃষকের প্রাণ বাঁচালেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা

মলদ্বারে দেড় ফুটের লাউ! বের করে ষাটোর্ধ্ব কৃষকের প্রাণ বাঁচালেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা


ডেস্ক রিপোর্ট: মাস দুয়েক আগে পায়ুপথে ১ কেজি সোনা ভরে পাচার করতে গিয়ে কেরলের কান্নুর বিমানবন্দরে ধরা পড়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার এক এয়ার হোস্টেস। যে পায়ু থেকে দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু ও বর্জ্য নিঃসরণ হয়ে থাকে সেই পায়ু থেকে শিঙ-মাগুরের মতো মাছ এমনকি বোতল পর্যন্ত উদ্ধার করেছেন চিকিৎসকেরা, এমন ঘটনাও অতীতে ঘটেছে। কিন্তু তা বলে মলদ্বার থেকে বেরোচ্ছে আস্ত একটা লাউ! শুনে চোখ কপালে উঠলেও এমন কান্ড সত্যিই ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর জেলা হাসপাতালের অপারেশন রুমে।

গত রবিবার (২১ জুলাই) ছত্তরপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ২ ঘন্টা অস্ত্রোপচার শেষে ষাটোর্ধ্ব এক কৃষকের মলদ্বার থেকে ১৬ ইঞ্চি লম্বা একটি লাউ বের করে আনতে সফল হয়েছেন। ওই কৃষকের বাড়ি খাজুরাহো এলাকায়। যখন রোগীকে হাসপাতালে আনা হয় তখন তাঁর যায় যায় অবস্থা। এক্সরে করার পর চিকিৎসকেরা দেখতে পান, বৃদ্ধের মলদ্বারের গভীরে একটি লাউ ঢুকে আছে, যা তাঁর অন্ত্রের গুরুতর ক্ষতিসাধন করেছে।

মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর জেলা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ড. নন্দকিশোর জাটভকে জটিল অস্ত্রোপচারটি নেতৃত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

রোগীর জীবন রক্ষায় তখনই জরুরি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। ড. নন্দকিশোর জাটভের নেতৃত্বে চারজন সার্জেনের একটি দল দুই ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার শেষে বৃদ্ধের মলদ্বার থেকে ১৬ ইঞ্চির লাউটি বের করে আনতে সক্ষম হন। লাউ ঢুকে আটকে যাওয়ায় ওই কৃষকের মলাশয়ের অভ্যন্তরীণ ঝিল্লি ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে বলে ছত্তরপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে রোগী বিপন্মুক্ত।

কীভাবে ষাটোর্ধ্ব কৃষকের মলদ্বারে প্রায় দেড় ফুটের লাউ ঢুকলো, এটা জানতেই এখন ডাক্তারবাবুদের যাবতীয় কৌতূহল। অস্ত্রোপচার শেষে রোগীর জ্ঞান ফিরতেই তাঁর কাছে ‘কেস হিস্ট্রি’ জানতে চান চিকিৎসকেরা। কিন্তু মলদ্বারে কীভাবে লাউ প্রবেশ করল, এখনও পর্যন্ত সে ব্যাপারে মুখ খোলেন নি ওই কৃষক। চিকিৎসকেরা মনে করছেন বৃদ্ধ নিজেই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন এবং তার পেছনে তাঁর মানসিক অবস্থা দায়ী থাকতে পারে।

অস্ত্রোপচার শেষে ড. নন্দকিশোর জাটভ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “রবিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ রোগীকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন তিনি পেটের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। বাড়ির লোকেরা প্রথমে তাঁকে বেসরকারি মিশন হাসপাতাল নিয়ে যান। কিন্তু সেই হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেন। পরে রোগীকে সরকারি ছত্তরপুর জেলা হাসপাতালে আনা হয়। রোগীর অবস্থা গুরুতর বুঝতে পেরেই দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু করি আমরা।”

ফিচার ইমেজ: প্রতিনিধিত্ব মূলক।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *