ডেস্ক রিপোর্ট: কোনও কোনও মহলের নিন্দা-বিরোধিতা থাকলেও সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ কোনও রাজ্যেই নিষিদ্ধ নয়। ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গ। নিষেধাজ্ঞা খারিজের আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে গেলেন ছবিটির প্রযোজক বিপুল শাহ। নিজের রাজ্যেই সরকার ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করায় মর্মাহত পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সুদীপ্ত মনে করেন,”নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি রাজনৈতিক।” একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সাফ জানান, “আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি চলচ্চিত্র পরিচালক। সিনেমা বানানোই আমার কাজ। আমি আমার কাজ করে যাব।”
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ছবিটি দেখতে অনুরোধ জানিয়েছেন দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক। সুদীপ্ত সেন বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে ছবিটি দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি। দেখার পর ছবিটি তাঁর পছন্দ হবেই।” সুদীপ্ত বলেন, “আমার মনে হয় ছবিটি দেখার পর তিনি গর্ববোধ করবেন এই ভেবে যে, একজন বাঙালি পরিচালক এই ছবি বানিয়েছেন।”
নিষিদ্ধ হওয়ার আগে চারদিন ধরে দ্য কেরালা স্টোরি পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে একাধিক হল ও মাল্টিপ্লেক্সে চলেছে। কোথাও কোনও আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা যায় নি। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনশৃঙ্খলার ধুয়ো তুলে ছবিটি নিষিদ্ধ করলেন কেন? প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। তিনি মনে করেন, “আইনশৃঙ্খলা নয়, স্রেফ রাজনৈতিক কারণেই তাঁর ছবি নিষিদ্ধ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।” দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন,”ছবি মুক্তির পর চারদিন পার হয়ে গেল। কোথাও কোনও সমস্যা হয় নি। আচমকা দিদির মনে উদয় হল, এই ছবির কারণে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে!”
শুধু পরিচালক নয়, রাজ্যের জনগণের বড় অংশও মনে করছেন, মমতার পদক্ষেপের পিছনে রাজনীতির অঙ্ক আছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের সমর্থন নিয়ে চাপা আতঙ্কে ভুগছে তৃণমূল। দেশ জুড়ে দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে বিতর্ক চলছে। তিনি আগ বাড়িয়ে ছবিটি নিষিদ্ধ করে দিলে ভোটে লাভবান হতে পারেন- এই ভাবনা থেকেই মমতা দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
Feature Image is Representational.