ডেস্ক রিপোর্ট: যোগী রাজ্যে পুলিশ এনকাউন্টারে নিহত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের পুত্র আসাদ। সংঘর্ষে আসাদের সঙ্গী গুলামেরও মৃত্যু হয়েছে। আইনজীবী উমেশ পাল হত্যায় অভিযুক্তদের তালিকায় এই দু’জনের নাম ছিল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজের ধূমানগঞ্জে আইনজীবী উমেশ পাল খুন হন। বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল ও তাঁর দুই নিরাপত্তারক্ষীকে খুনের ঘটনার একমাত্র সাক্ষী ছিলেন উমেশ। ২০০৫-এর ২৫ জানুয়ারি এলাহাবাদ পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক রাজু পালকে দুই নিরাপত্তারক্ষী সহ খুন করা হয়েছিল। ঘটনায় মুলায়ম জামানার কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। আতিককে সংসদেও পাঠিয়েছিল সমাজবাদী পার্টি।
রাজু পাল হত্যা মামলা দুর্বল করতেই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী উমেশ পালকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। উমেশ পাল হত্যায় আতিকের পাশাপাশি তার ভাই আশরফ, ছেলে আসাদ এবং গুলাম সহ আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসে। ঘটনায় সময় আতিক গুজরাটের সবরমতী জেলে বন্দী ছিল। দিন কয়েক আগেই রাজু পাল হত্যা মামলায় আতিক আহমেদের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। সাজা কার্যকর করতে আতিককে সবরমতী জেল থেকে উত্তরপ্রদেশে ফিরিয়ে এনেছে যোগী প্রশাসন। উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত দুই দুষ্কৃতীকে আগেই এনকাউন্টারে নিকেশ করছে ইউপি পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
দু’জনকে ধরিয়ে দিলেই ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ছিল
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি ( আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্তকুমার বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঝাঁসিতে এসটিএফ-এর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আসাদ ও গুলামের মৃত্যু হয়েছে। ডিএসপি পদমর্যাদার দুই আধিকারিক নবেন্দু ও বিমল এসটিএফ-এর নেতৃত্বে ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে বিদেশে তৈরি অত্যাধুনিক দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে এডিজি ( আইনশৃঙ্খলা) জানিয়েছেন। উমেশ পাল খুনে মূল অভিযুক্ত আসাদ ও গুলাম পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এই দু’জনকে ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ লক্ষ টাকা করে পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল প্রশাসন।
আতিকের ভগ্নিপতি আখলাকও একই মামলায় গ্রেফতার
উমেশ পাল হত্যা মামলায় আতিক আহমেদের বোন আয়েশা নুরির স্বামী ড. আখলাককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আয়েশার মেয়ের সঙ্গেই আতিকের ছেলে আসাদের বিয়ে ঠিক করা ছিল। উমেশের শুটআউটের ঘটনায় আসাদ সরাসরি জড়িত ছিল পুলিশের দাবি। এক সময়ের কুখ্যাত ডন আতিক আহমেদ এখন যোগী রাজ্যে জেলে চাক্কি পিষছে। রাজু পাল হত্যা মামলায় প্রয়াগরাজের এমপি-এমএলএ বিশেষ আদালতে আতিকের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও একশোটি বেশি মামলা ঝুলছে। গত ৮ এপ্রিল গোরক্ষপুরে একটি কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, “আগে যাদের নাম শুনলেই লোকে আতঙ্কে ঘেমে যেত, এখন তারাই পুলিশের নাম শুনে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলছে।” এই পাঁচ বছরেরে ইউপির কুখ্যাত ‘গুন্ডারাজ’ প্রায় শেষ করে এনেছেন যোগী আদিত্যনাথ। পাঁচ বছরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গেছে ১৬০ জন দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার আসাদ ও গুলামের মৃত্যুতে আরও দুটি সংখ্যা তালিকায় যোগ হল।
Feature Image is Representational.