ট্রাম তো বাম আমল থেকেই লাইফ সাপোর্টে, শুধু মৃত ঘোষণা বাকি ছিল এবং ঘোষণাটা হইয়া গেল

ট্রাম তো বাম আমল থেকেই লাইফ সাপোর্টে, শুধু মৃত ঘোষণা বাকি ছিল এবং ঘোষণাটা হইয়া গেল


অবশেষে বুড়ো ট্রাম মরিল! শোকোচ্ছ্বাস আছে কিন্তু এই মৃত্যু যে অপ্রত্যাশিত নয়, তা কলকাতাবাসী মেনে নিয়েছেন। রাজ্যের বেচারাম সরকার অবশ্য খুব‌ই খুশি। কেন খুশি, তা বাঙালি ভাল করেই জানে। লিখেছেন নির্বাণ রায়-

অবশেষে আইসিইউতে থাকা ট্রামের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে সরকার। অনেক আগেই কলকাতার ট্রাম কোমায় চলে গিয়েছিল। আর ‘লাইফ সাপোর্ট’ দিয়ে ট্রামকে টিকিয়ে রাখতে রাজি নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।‌ ট্রামের ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ইস্যু হতেই বাঙালি সমাজে বেজায় কলরব পড়ে গেছে। কেউ শোকোচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন তো কেউ বলছেন, আপদ বিদেয় হয়েছে। ট্রামের বিষয়-আশয় ইত্যাদি বিক্কিরি করার বরাত পেয়ে যদি দুপয়সা ধান্দাপাতি হয়, তাহলে তো ভালোই। দিনকাল যা পড়েছে, প্রতি পাড়ার মোড়েই, রাস্তায় চায়ের দোকান ও চপের দোকানের শুভ উদ্বোধন হচ্ছে। তার চেয়ে ঘটি বাটি বেচেই ফূর্তি করা যাক না।

‘ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানী’ যাত্রা শুরু করে ১৮৮০ খ্রীষ্টাব্দে, লন্ডনে। ট্রাম যদিও প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল ১৮৭৩ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী, শিয়ালদহ ও আর্মেনিয়ান স্ট্রীটের মধ্যে, কিন্তু তা শুরু হবার নয় মাস পরেই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আবার চালু হয় শিয়ালদহ ও আর্মেনিয়ান স্ট্রীটের মধ্যেই, অবশ্য মিটার গেজ বসানোর পর। সেই ট্রাম ছিল ঘোড়ায় টানা ট্রাম, মানুষে টানা ট্রামও চালানোর চেষ্টা করা হয় সেই সময়, কিন্তু ট্রাম টানা মানুষের কম্মো নয়, তাই বন্ধ হয়ে যায় চিরতরে। সভ্যতার প্রগতির সঙ্গে পরিবহন ব্যবস্থারও পরিবর্তন হয়, ১৯০২ সালের ২৭শে মার্চ ধর্মতলা ও খিদিরপুরের মধ্যে প্রথম বিদ্যুতচালিত ট্রামের সূচনা হয়, দ্বিতীয় বিদ্যুতচালিত ট্রাম ধর্মতলা থেকে কালীঘাট অবধি যাত্রা করে ১৪ই জুন তারিখে।

কলকাতার রাস্তায় ঘোড়ায় টানা ট্রাম প্রথম ছুটেছিল ১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, শিয়ালদহ থেকে আর্মেনিয়ান‌ স্ট্রিটের মধ্যে। ছবি: সংগৃহীত

নাগরিক জীবনের অচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠে ট্রাম। ট্রাম ছাড়া কলকাতায় যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা অভাবনীয় হয়ে ওঠে। কলকাতার বুক জুড়ে আড়ে-বহরে বেড়ে ওঠে ট্রামের স্বচ্ছন্দ চক্রধ্বনি। ভোর ৪.৪০ এ ট্রামের ঘন্টির শব্দে কলকাতার ঘুম ভাঙতো কলকাতার, কর্মব্যস্ত দিনের শেষ হত বালিগঞ্জ ডিপোতে রাত ১১.৫০ এ শেষ ট্রাম আসবার পর। ১৯৪৩ সালে হাওড়া ব্রীজ তৈরী হবার পর কলকাতা থেকে ট্রাম পৌঁছে যায় হাওড়া স্টেশনেও, যা মিশে যায় হাওড়ার ট্রাম পরিষেবার সাথে দক্ষিণে শিবপুর ট্রাম ডিপো অবধি ও উত্তরে বাঁধাঘাট অবধি।

কলকাতার রাজপথে বিদ্যুৎ চালিত ট্রাম প্রথম চলেছিল ১৯০২ সালের ২৭ মার্চ। ছবি: সংগৃহীত

এরপর স্বায়ত্তশাসন, ইংরেজ ভারত ছাড়তে বাধ্য হলে ১৯৫২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৫ বছরের মধ্যে ‘ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানী’কে অধিগ্রহণ করবার জন্য আইন প্রণয়ন করে। মালিকানা ও পরিচালনা ট্রাম কোম্পানীর হাতে থাকলেও অলক্ষ্যে নীতি নির্ধারক হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন দপ্তর। ১৯৫৩ সালের ২৩শে জুন ভারতকেশরীর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর রহস্যজনক হত্যার দুদিন পর ২৫শে জুন ট্রামের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পয়লা জুলাই থেকে এক পয়সা ভাড়া বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়। তৎকালীন বামদলগুলির সমন্বয়ে গড়ে ওঠে ‘প্রতিরোধ কমিটি’, যার নেতৃত্বে ছিল হেমন্ত বসু, জ্যোতি বসু, সুবোধ ব্যানার্জী, সুরেশ ব্যানার্জী, প্রিয়া ব্যানার্জী প্রমুখ। ট্রাম কোম্পানীর বিরুদ্ধে হ্যান্ডবিল ছেপে, পার্টির মুখপত্রে প্রচার করা হয় ট্রাম কোম্পানী বিশাল মুনাফা করছে, এক পয়সা ভাড়া বাড়িয়ে আরো মুনাফা করতে চায় কোম্পানী। উদ্বাস্তুদের সাথে নিয়ে ছাত্র যুবদের সামনে রেখে গোটা জুলাই মাস ধরেই উত্তপ্ত পরিস্থতি বজায় থাকে। ১৪৪ ধারা, ট্রাম পোড়ানো, ব্যারিকেড, পিকেটিং, হরতাল, লাঠিচার্জ, সমাবেশ ইত্যাদির শেষে ‘ট্রাম মজদুর পঞ্চায়েত’ ইউনিয়ন যোগ দেয় ‘প্রতিরোধ কমিটি’র সাথে। শেষের শুরু হয়, প্রতিরোধ কমিটির মুখ পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়। শ্যামাপ্রসাদের রহস্যাজনক হত্যা সংবাদমাধ্যমে পেছনের পাতায় চলে যায়, নেহরু স্বস্তিলাভ করে। শেষের শুরু হয় ট্রাম নামক গণপরিবহন ব্যবস্থার।

ভাড়া এক পয়সা বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমে ১৯৫৩ সালে একাধিক ট্রাম পুড়িয়ে দিয়েছিল বামপন্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৭ সালে পূরণ হয় ট্রাম কোম্পানীকে অধিগ্রহণ করবার ১৫ বছরের প্রদত্ত সময়সীমা। ব্রিটিশেরা যারা লুঠতরাজ চালাত ১৯৪৭ সালের আগে, এবার তার পালিয়ে গেল কর্মচারীদের মাইনে না দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দায়িত্ব নিল ট্রাম কোম্পানীর, যা আগে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিয়ণ্ত্রিত হত। ১৯৭০-৭১ সালে উত্তাল সময়ে বন্ধ হয়ে গেল হাওড়ার শিবপুর ও বাঁধাঘাটের ট্রাম পরিষেবা। এরপরের ইতিহাস অবক্ষয়ের ইতিহাস যার বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে ২০২৪ এ ট্রাম পরিষেবা বন্ধ করবার ঘোষণার মাধ্যমে। ট্রামের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত নেমে আসে যখন মেট্রো তৈরীর ‘কাট আ্যন্ড কভার’ নির্মাণশৈলীর জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল ডালহৌসী থেকে কালীঘাট অবধি ট্রাম লাইন। মেট্রো তৈরীর সময় মেট্রো তৈরীর পরে ট্রাম লাইন পুনরায় তৈরী করে ট্রাম চলাচলের ব্যবস্থার অঙ্গীকার করা হলেও তা পালন করা হয়নি ইউনিয়ন ও ট্রাফিক পুলিশের তীব্র আপত্তিতে। ফলতঃ ট্রামলাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উত্তর ও দক্ষিণে।

এই সময়েই বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসবার জন্য শক্তিশালী হতে থাকে অটো ও বাস ইউনিয়নগুলি, ট্রাম কোম্পানীর ইউনিয়নকে পেরিয়ে পার্টির কাছে অধিক গুরুত্ব পেতে থাকে বাস অটো ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। ট্রামের প্রতি বিতৃষ্ণা বাড়তে থাকে পার্টির নেতাদের। সিপিআইএমের শ্যামল চক্রবর্তী ১৯৯২ সালে ঘোষণা করলেন ‘ট্রামের একদিন স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটবে’। শহর জুড়ে অটোর রমরমা বাড়বার সঙ্গে সঙ্গে ট্রামের ওপর বেড়ে চললো বিমাতৃসুলভ আচরণ। ট্রামের দোষ হল ট্রাম নাকি গতিতে পিছিয়ে পড়ছে ও অন্যান্য পরিবহন দিচ্ছে। নেতা থেকে মন্ত্রী সবাই ক্ষেপে উঠলেন ট্রামের প্রতি। বন্ধ হয়ে গেল ট্রাম চালানোর প্রকৌশল জানা জরুরী পদে নিয়োগ। ১৯৮০ সালে ট্রামের শতবর্ষে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিলেন ‘কলকাতা বহু পরিবর্তনের মুখ দেখেছে, কিন্তু ট্রাম তুলে দেওয়ার কথা ভাবতেও পারে না।‘

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর নজর দিলেন ট্রামকে বাঁচানোর জন্য, ট্রাম লাইনকে কংক্রিট করা হল, কিন্তু অদ্ভুতভাবে সেটা করা হল রাস্তার মাঝখানে, ফুটপাতের দিকে করা হল না পরিবহন মন্ত্রীর নির্দেশে। ২০১৩ সালে শুরু হয়ে গেল ট্রাম ডিপোর জমি বিক্রি করার উপক্রম। আর এই বছর হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলায় বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও ট্রাম পরিষেবা বন্ধের ঘোষণা করল পরিবহন মন্ত্রী। প্রকৌশলীরা চেষ্টা করলেন ট্রাম পরিষেবাকে আধুনিক করবার জন্য, চেষ্টা করলেন তাপনিয়ন্ত্রিত ট্রাম চালু করবার, ট্রাম তৈরী করা হল আধুনিক মেটেরিয়াল দিয়ে। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে তা আজ প্রমাণিত। শেষ কবে ট্রাম কোম্পানীতে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে, তা গবেষণার বিষয়।

ট্রাম পরিষেবা কলকাতায় বন্ধ করা হলেও বিশ্বের বিভিন্ন শহরে গণপরিবহনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ট্রমের কিছু সুবিধে রয়েছে, সেগুলি হল-

  • ১. পরিবেশবান্ধব পরিবহন মাধ্যম।
  • ২. নির্দিষ্ট পথেই (ট্র্যাক) চলাচল করে থাকে।
  • ৩. যাত্রী পরিবহনক্ষমতা অন্য যে কোনো ট্রান্সপোর্ট মোদের তুলনায় অনেক অনেক বেশি।

অসুবিধেগুলি হল-

  • ১. নির্দিষ্ট পথেই (ট্র্যাক) চলাচল করে থাকে।
  • ২. অস্বীকার করার উপায় নেই ট্রামের গতি তুলনামূলকভাবে কম, তাই ট্রাফিক ট্রামের কারণে বিঘ্নিত হয় একথা সত্য।

অন্যদিকে দেখে নেওয়া যাক কলকাতার পরিবহন ব্যবস্থার অন্যান্য দিকগুলি-

  • ১. একটি শহরের মোট জমির অনুপাতে রাস্তার পরিমাণ হওয়া উচিত ২০ শতাংশ। কলকাতায় রাস্তার পরিমাণ ৬%।
  • ২. কলকাতা শহরের মূল রাস্তাগুলির ফুটপাতের অধিকাংশই দখল করে রেখেছে হকারেরা। অনেকে ফুটপাতেই স্থায়ী দোকান বানিয়ে ব্যবসা করছে বছরের পর বছর। এবং দোকানের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে।
  • ৩. রাস্তার ওপর গাড়ির পার্কিং করে রাস্তার গাড়ি চলাচলের জন্য ক্যারেজওয়ে অত্যন্ত সংকুচিত।
  • ৪. ফুটপাত দখল হওয়ায় পথচারীদের রাস্তায় চলাচল করতে হয়।
  • ৫. অটো ইউনিয়নের দাদাগিরিতে গোটা শহর জুড়েই ট্রাফিক অব্যবস্থা অব্যাহত থাকে, কারণ ট্রাফিক পুলিশ অটোদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না, কারণ অটৌ ইউনিয়নগুলি প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকার জন্য যে ট্রাফিক পুলিশ আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সে বিপদে পড়তে পারে।
  • ৬. একই রুটের বেসরকারী বাসের মধ্যে প্রতিযোগিতায় (কমিশন পেমেন্ট সিস্টেম) যানজট ও দুর্ঘটনার প্রবণতা।
  • ৭. ট্রাফিক সেগ্রিগ্রেশন এর অভাব। একই রাস্তায় দ্রুতগতি ও স্বল্পগতির যানের যাতায়াত।

অদ্ভুতভাবে, অন্য সমস্যার দিকে দৃকপাত না করে ট্রামের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণের কারণ ট্রাম কোম্পানীর জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি, যা বিক্রি করে সরকারের প্রভূত লাভ হতে পারে। গাছের শাখায় বসে সেই শাখা কাটবার নির্বুদ্ধিতার জন্য কালিদাসের কথা আমরা সবাই জানি। আর বাঙ্গালীর ভোটে জয়ী হয়ে বাঙ্গালীর ক্ষতি করবার জন্য প্রথমে বামফ্রন্ট ও পরে জ্যোতি বসুর মানসকন্যা মমতা ব্যানার্জীর বাসস্থান কালীঘাট কি বাঙ্গালীর ও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করবার জন্য প্রবাদপ্রতিম হয়ে উঠবে তার উত্তর সময় দেবে।

কলকাতায় ট্রামের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়েছিল বাম আমলেই। অন্ত্যেষ্টির দায়িত্ব পালন করল তৃণমূল সরকার। ছবি: প্রতিবদক

আঁতেল বাঙ্গালীর অন্যতম সেরা কবির ট্রামের সামনে চলে আসায় (দুর্জনেরা বলে আত্মহত্যা) ও তা মৃত্যুর কারণ হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক বিক্রিত কবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ট্রামকে হত্যা করবার আনন্দে বা দুঃখে বাঙ্গালী বিচলিত কিনা তা স্মৃতি হিসেবে রয়ে গেলেও ট্রামের পুনরুজ্জীবন ঘটবে না, এ কথা বলা যেতেই পারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ট্রাম কোম্পানীর ওয়েবসাইটে ট্রামের ইতিহাসের দিনপঞ্জী ২০১৪ সালের পর আর কোনো কিছু লেখা হয়নি। একটা ফ্রেঞ্চ বাক্যবন্ধ সেখানে দেওয়া আছে, চ্যাটজিপিটিতে তার অনুবাদ এখানে দেওয়া থাকলো, গুণীজনেরা এর মানে জানালে বাধিত থাকব।

Les hommes dans le maintien, vous répliquez dans la même capacité avec les personnes et connectez-vous ou venez avec d’autres, avant d’utiliser le médicament appelé Viagra 40mg VX. En effet il existe des effets secondaires, le Cialis 20 nomades-parapharmacie.com mg n’agit pas sur la libido.

“Men in maintenance, you respond in the same capacity with others and connect or come with others before using the medication called Viagra 40mg VX. Indeed, there are side effects; Cialis 20mg from nomades-parapharmacie.com does not act on libido.”

তথ্যসূত্র- https://www.calcuttatramways.com/timeline/

https://archive.roar.media/bangla/main/history/calcutta-tram-a-testimony-of-one-paisa-price-hike-and-change-in-politics

https://www.dailyo.in/bangla/variety/kolkata-tram-metro-corridor-ac-trams-shyamal-chakaraborty-east-india-company/story/1/22916.html

Feature photo is representational and the photo was taken by the author.


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *