ডেস্ক রিপোর্ট: পাঁচিলে বাঘের মাসির বসা দেখেই অভ্যস্ত মানুষের চোখ কিন্তু ঘুম ভেঙেই যদি নজরে পড়ে বাড়ির পাঁচিলে রোদ তাপাচ্ছেন আর কেউ খোদ নন রয়্যাল বেঙ্গল বাঘ মশাই, তখন বুকের ভেতর আত্মারামের কী অবস্থা হতে পারে তা বলাই বাহুল্য। গল্পে নয় বাস্তবেই পাঁচিলে এসে বাঘ বসল উত্তরপ্রদেশের পিলিভীটের আটকোণা গ্রামে। সোমবার রাতেই সংরক্ষিত বনাঞ্চল ছেড়ে পাশের লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল বাঘটি। শীতের রাতে গ্রামবাসীরা যখন দোরে খিল দিয়ে গভীর ঘুমে তখন বনের রাজা চুপিচুপি তাদের উঠোনে। সারা শীতের রাত এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে জার লাগাই স্বাভাবিক। সকালে সূর্য উঠতেই একটি বাড়ির পাঁচিলে উঠে রোদে একটু গা সেঁকে নেওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল বুঝি উনার।
ঘরের জানালা খুলে পাঁচিল পানে তাকাতেই গৃহস্থের চক্ষুস্থির। দৃশ্য দেখে দাঁত কপাটি লাগে বাড়ির মালিকের। তবে সম্বিত ফিরতেই তাঁর হাউমাউয়ে বাড়ি তো বটেই পাড়া শুদ্ধু সবাই তটস্থ হয়ে উঠে। পাঁচিলে বাঘ বলে কথা। ভয়ে আর বিস্ময়ে রে রে করে বেরিয়ে আসেন এলাকাবাসীরা। পাঁচিলে বাঘ বসে আছে, এই খবর চাউর হতেই আর পাঁচ গাঁ থেকে ছুটে আসেন মানুষ। হাজার হাজার লোকের হট্টগোলেও বাঘের রাজকীয় মেজাজে ছেদ পড়ে নি। ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে দিব্যি পাঁচিলেই শুয়ে-বসে, আড়মোড়া ভেঙে সময় কাটিয়ে দিচ্ছিলো সে।
মানুষের মোবাইলে মোবাইলে বন্দি হতে থাকে বাঘমামার কান্ডকারখানা। মুহূর্তে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। খবর পাওয়া মাত্রই বন দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাঘটিকে কাবু যখন করলেন, ততক্ষণে ১২ ঘন্টা পার। ঘুমন্ত বাঘ খাঁচাবন্দি হলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন আটকোণা গ্রামের মানুষ। এই যাত্রায় বাঘটি কাউকে আক্রমণ না করলেও গত চার মাসে এই অঞ্চলে বাঘের আক্রমণে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মাঝেমধ্যেই পিলভীটের ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে বাঘ বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।
Feature image credit- X handle.