নবান্ন অভিযান নিয়ে শুভেন্দুর হুঙ্কার! ‘কত পুলিশ আছে মমতা ব্যানার্জির, দেখা যাবে।’
জলপাইগুড়ি : ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান। তার আগে জেলায় জেলায় চষে বেড়াচ্ছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে এলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি শহরে পদযাত্রা শেষে সভা করলেন শুভেন্দু। নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতিতে শুভেন্দু অধিকারীর জলপাইগুড়ি সফর ঘিরে দিন কয়েক ধরেই স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে পারদ চড়ছিল। আগেই শুভেন্দুর কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ও উপপুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। এদিন সকালে শুভেন্দু অধিকারী শহরে ঢোকার আগেই বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করে রাস্তায় নামতে দেখা যায় তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের। ‘চোর চোর চোর টা শিবিরবাবু ছেলেটা’ নামাঙ্কিত ফ্লেক্স শহরের বিভিন্ন স্থানে টাঙিয়ে দেন টিএমসিপি ও যুব তৃণমূলের সদস্যরা। যদিও স্থানীয় তৃণমূলীদের সমালোচনাকে পাত্তা দিলেন না শুভেন্দু।
সন্ধ্যায় মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, নবান্ন অভিযানের বার্তা একটাই- ‘চোরেদের জেলে ভরো। চোরেদের রাণীকে টেনে নামাও।’ চোরেদের রাণী কে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্টতই বলেন, “চোরেদের রাণী মমতা ব্যানার্জি। সবাই বলছে পার্থ-কেষ্ট চুনোপুঁটি। সব খেয়েছে হাওয়াই চটি।” শুভেন্দু আরও বলেন, “হাওয়াই চটি বসে নবান্নতে। তাই উত্তর থেকে দক্ষিণ- কয়েক লক্ষ লোক যাচ্ছে। কত পুলিশ আছে মমতা ব্যানার্জির, দেখা যাবে।”
সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ ও তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে শুভেন্দু পাল্টা বলেন- “ও করছে। ছোঁড়া। ডাকাত একটা আছে এখানে। সৈকত তো। ওই করছে। ভাইপোর টাকা তোলে।” সারদা মামলায় অভিযুক্ত জেলবন্দী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে সিআইডি চাপ দিচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন দেবযানীর মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়। দেবযানীর মায়ের অভিযোগ মিডিয়ায় আসতেই চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে। শুক্রবার এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়িতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন- “কালকে সিআইডির চরিত্র প্রকাশ করেছেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা। এটাই হচ্ছে ঘটনা। বাস্তব।” মঙ্গলকোট বোমা বিস্ফোরণ মামলায় এদিনই বেকসুর খালাস পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, “ও রাজ্য সরকারের পুলিশের কেস। ছেড়ে দেন। অনুব্রতকে তিহাড়ে যেতে হবে।” শুক্রবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “যন্ত্রণার নাম নন্দীগ্রাম-১৯৫৬। পিসি কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আমার কাছে। তাই যন্ত্রণা আছে। যন্ত্রণা থেকে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন।”
Photo & Video- Reporter.