জলপাইগুড়ি : ই-রিকশা বা টোটোর জনপ্রতি যাত্রীভাড়া ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করার দাবি উঠল। এই দাবিতে শুক্রবার জলপাইগুড়ি পুরসভার পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিল সিটু অনুমোদিত জলপাইগুড়ি ই-রিকশা চালক ইউনিয়ন। ই-রিকশা চালক ইউনিয়নের অভিযোগ, ২০১৩ সালে শহরের রাস্তায় প্রথম টোটো চলাচল শুরুর সময় থেকে ভাড়া জনপ্রতি ১০ টাকা, নয় বছর ধরে ভাড়া অপরিবর্তিত অথচ দ্রব্যমূল্য বাড়তে বাড়তে আকাশ ছুঁয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ভাড়াবৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন জলপাইগুড়ি শহরের টোটো চালকেরা। শহরে টোটোর সংখ্যাও অগুণতি। পুরসভা থেকে ই-রিকশার অনুমোদনের ব্যবস্থা করা হলেও এখনও শহরের রাস্তায় অনুমোদনহীন টোটোর সংখ্যা কম নয় বলে অভিযোগ। এদিন দুপুরে ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে শহরের দিশারি মোড় থেকে মিছিল নিয়ে পুরসভায় রওনা হন জলপাইগুড়ি ই-রিকশা চালক ইউনিয়নের সদস্যরা। প্রত্যেকটি টোটোর মাথায় উড়ছিল সিটুর লালঝান্ডা। পুরসভা চত্বরে ভাড়াবৃদ্ধি সহ অন্যান্য দাবিতে বিক্ষোভ দেখান টোটো চালকেরা। ইউনিয়নের সম্পাদক শুভাশিস সরকার অভিযোগ করেন, ” পুরসভায় এলে পুরপ্রধানের দেখা পাওয়া যায় না। তিনি পুরসভায় আসেনই না। যতবার আলোচনায় বসতে চেয়েছি, পুর কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে গেছেন।” তিনি আরও বলেন, ” বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বিদ্যুতের বিল অনেক। অথচ টোটাভাড়া একই আছে। চালকদের পেটেটান পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে টোটোর ন্যূনতম যাত্রীভাড়া বিশটাকা করতেই হবে।” পুরসভা ভাড়াবৃদ্ধির বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও অনেক যাত্রী স্বেচ্ছায় ২০ টাকা করে ভাড়া দিচ্ছেন বলে জানান শুভাশিস। আবার বাড়তি ভাড়া আদায় করতে গিয়ে টোটো চালকেরা অনেক সময় যাত্রীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন বলেও জানান তিনি। এই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই সরকারিভাবে টোটোভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছেন চালকেরা।
শুক্রবার দুপুরে পুরপ্রধান পাপিয়া পালকে পুরভবনেই পাওয়া গেছে। আন্দোলনরত ই-রিকশাচালকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এদিন কথাও বলেন পুরপ্রধান। ভাড়াবৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছেন তিনি। পুজোর আগেই এই নিয়ে একটা পদক্ষেপ করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পুরপ্রধান। জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি পুর এলাকায় নতুন করে আর কোনও ই-রিকশার অনুমোদন না দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ভিডিও-
Video and photo-Reporter.