বিন্নাগুড়ি : সেনা ছাউনি মানেই দুর্ভেদ্য দুর্গ! বিনা অনুমতিতে সেখানে ঢুকতে মানুষ যখন দশবার ভাবে হস্তিকুল তখন ডোন্ট কেয়ার। ডুয়ার্সের বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনি এখন হাতিদের দখলে। পাঁচ-সাতটি নয় চল্লিশটি হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেনাদের খাস তালুক। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে হস্তি দম্পতিরা দল বেধে চষে ফেলছে ছাউনি।
পাঁচদিন ধরে সেনা ছাউনি ছাড়ার নাম নেই হস্তি রেজিমেন্টের। চারদিকে জঙ্গল আর চা বাগানে ঘেরা জলপাইগুড়ি জেলার বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনি। এলাকাটা বিশাল। ভেতরে সেনা জওয়ানদের আবাসন, আর্মি অফিসারদের বাংলো, সৈনিক স্কুল এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, ব্যাঙ্ক, ডাকঘর এবং সেনা হাসপাতাল সহ আরও অনেক পরিকাঠামো রয়েছে। আছে সেনাবাহিনীর বিশাল অস্ত্রাগারও।
জঙ্গলের মধ্যেই সেনা ছাউনি থাকায় ছাউনির পথঘাট বনের হাতিদের বেশ ভালোই চেনা। মাঝেমধ্যেই তাই সেনা বাহিনীর এলাকায় তেনারা ঢুকে পড়েন। তবে এবারের দলটি বেশ বড়। এবং ছাউনি ছাড়ার নাম করছে না। একবার পাশের বিন্নাগুড়ি চা বাগানে ঢুকে পড়লেও সেখানে বেশিক্ষণ মন টেকে নি হস্তিদলের। দল বেঁধেই তারা ফিরে আসে ছাউনিতে। ছাউনির এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে দাপটে। আবাসিকেরা তটস্থ হলেও এলিফ্যান্ট রেজিমেন্ট ছাউনি চত্বরে অনিষ্ট কিছু করে নি। বন দফতরের কর্মীরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন হস্তিবাহিনীর উপর।
এক সময় ভারতীয় রাজাদের সৈন্য বাহিনীর অন্যতম অঙ্গ ছিল হাতি। হাতির পিঠে চড়ে যুদ্ধে যেতেন বীরেরা। পূর্বপুরুষদের কথা মনে পড়তেই সৈনিকদের ডেরায় দল বেঁধে হাতিদের আনাগোনা কিনা কে জানে!
ভিডিওতে দেখুন-
Photo and Video- Reporter.