রাস্তায় দিনে-দুপুরে ছিনতাই থেকে ঘরে ঢুকে চুরি। বাদ গেল না মন্দিরও। জলপাইগুড়ি শহরে চুরি-ছিনতাই কি রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়াল? দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ছে কোথায়?
বিশেষ প্রতিবেদন :জলপাইগুড়ি শহরটা কি চোর-ছিনতাইবাজদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হল? শহর জুড়ে উপর্যুপরি চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে অথচ এখনও পর্যন্ত একটিরও কিনারা করতে ব্যর্থ পুলিশ! ভরদুপুরে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় সোনার হার-টাকা ছিনতাই থেকে গৃহস্থের ঘরে ঢুকে চুরি- একের পর এক ঘটনায় ত্রস্ত শহরবাসী। এমনকি চোরের বদনজর থেকে বাদ গেল না মায়ের মন্দিরও। এবার শহরের নিউটাউনপাড়ার আনন্দময়ী কালীবাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটল।
সোমবার সকালে এলাকার কয়েকজন মন্দিরে পুজো দিতে গেলে ঘটনাটি তাঁদের নজরে প্রথম আসে। তাঁরা দেখতে পান মন্দিরের গেটের তালা ভাঙা। গর্ভগৃহের লন্ডভন্ড অবস্থা। মায়ের সোনার টিপ এবং রাধাগোবিন্দের কর্ণকুন্তল, পুজোর সমস্ত কাঁসাপিতলের বাসনকোসন এবং শাড়িও হাপিস। ধাতুর তৈরি কয়েকটি বিগ্রহও চোরে নিয়ে গেছে। ভোর রাতে চোরেরা মন্দিরে ঢুকেছিল বলে স্থানীয় মানুষের অনুমান।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে আসে। চোর ধরা পড়বে কিনা ভবিষ্যতই বলবে। তবে শহরে এইভাবে উপর্যুপরি চুরির ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না শহর জলপাইগুড়ির নাগরিকেরা। গত চার সপ্তাহ ধরে পর পর চুরি- ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এবং এখনও পর্যন্ত কোনটারই কিনারা করতে পারে নি পুলিশ। কোনও একটি বড় চক্র ঘটনাগুলির সঙ্গে জড়িত বলে অনেকের সন্দেহ। কেউ কেউ বলছেন ঘন ঘন চুরি-ছিনতাইয়ের পেছনে আছে মাদকাসক্তদের হাত।
পুরভোটের দিন থেকেই জলপাইগুড়ি শহরকে আর যেন তার চিরপরিচিত রূপে দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ করে শান্তির শহরে অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় কারণ কী? পুলিশের অপদার্থতা কিন্তু আর আড়াল করা যাচ্ছে না। পুলিশের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের অদক্ষতা না পিসি পার্টির ব্যর্থতা- এই অবস্থার জন্য দায়ী কোনটি? নাকি চোর-ডাকাত ধরতে পুলিশের উৎসাহের অভাব? বিরোধীদের অভিযোগ- পুলিশ যদি আসল কাজ ভুলে প্রার্থীর মনোনয়ন জমায় বাধা দেওয়ার মতো অবাঞ্ছিত কাজে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তবে শহরের নিয়ন্ত্রণ চোর-ছিনতাইকারীদের হাতে চলে যাওয়াটাই তো স্বাভাবিক।
ভিডিওতে দেখুন-
Photo and video- Reporter. Feature image is representational.