আমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ জনকে ফাঁসির নির্দেশ বিশেষ আদালতের, ১১ জনের যাবজ্জীবন - nagariknewz.com

আমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ জনকে ফাঁসির নির্দেশ বিশেষ আদালতের, ১১ জনের যাবজ্জীবন


২০০৮-এর ২৬ জুলাইয়ের ঘটনা। ৫৬ জন নিহত। হাসপাতালকেও ছাড় দেয় নি জঙ্গিরা। সাড়ে ১৩ বছর পর শেষ হল বিচার। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম এক সঙ্গে এত জনের মৃত্যুদন্ডের সাজা!

ডেস্ক রিপোর্ট :আমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় শুক্রবার সিমি নেতা সফদর নাগরি সহ ৩৮ জনকে ফাঁসির নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত। ঘটনায় মোট দোষী সাব্যস্ত ৪৯ জন। বাকি ১১ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন বিচারক। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে একসঙ্গে এত জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা এই প্রথম। ২৮ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। এদের মধ্যে ১৬ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ যথেষ্ট প্রমাণ আদালতের সামনে পেশ করতে ব্যর্থ হ‌ওয়ায় ‘বেনিফিট অব ডাউট’ দিয়েছেন বিচারক।

২০০৮ সালের২৬জুলাই ৭০ মিনিট সময়ের মধ্যে ১৯টি বিস্ফোরণ ঘটেছিল আমেদাবাদ শহর জুড়ে। মৃত্যু হয়েছিল ৫৬ জনের। আহত দুশোর‌ও বেশি। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। শুধু আমেদাবাদ শহরের সিভিল হাসপাতাল চত্বরে বিস্ফোরণেই ৩৭ জনের প্রাণ গিয়েছিল। এলজি হাসপাতালে বিস্ফোরণ ঘটলেও সেখানে কেউ হতাহত হয় নি। গুজরাট দাঙ্গার বদলা নিতে আমেদাবাদে সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছিল জঙ্গিরা।‌ ঘটনার কয়েক দিনের ভেতর সুরাট শহরের বেশ‌ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে২৯টি অবিস্ফোরিত‌ বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

জঙ্গি নির্মমতার শিকার: অবশেষে শাস্তি পেল অপরাধীরা।

ঘটনার তদন্তে নেমে নিষিদ্ধ সংগঠন সিমি-র নেতা সফদর নাগরি সহ ৭৭জনকে গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ। সিমির সদস্যরাই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন গড়ে তুলেছিল‌ বলে দাবি পুলিশের। আমেদাবাদ ও সুরাটের ঘটনা মিলিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মোট ৩৫টি মামলা দায়ের করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। সাড়ে তেরো বছরের‌ও বেশি সময় ধরে আমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার বিচার চলে।১১০০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। এদের মধ্যে ২৬ জনকে আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তা দেয় সরকার। বিচারের জন্য প্রথমদিকে সবরমতী কেন্দ্রীয় কারাগারে বিশেষ আদালত বসানো হলেও নিরাপত্তার কারণে অধিকাংশ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারেন বিচারপতি।

Photo Credit- TOI, India Today and One India.


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *