অনেক তো হল মানুষটিকে নিয়ে কিছু খোলার, কিছু ঢাকার আর কিছু ধামাচাপা দেবার খেলা। নেতাজির আবির্ভাবের ১২৫ তম জয়ন্তীতে বাঙালি কি কাঁধে তুলে নেবে না আলো আঁধারিতে লুকিয়ে থাকা সব রহস্যের অবসান ঘটিয়ে তার প্রিয়তম মহানায়কের অসম্পূর্ণ জীবনেতিহাসকে পূর্ণাঙ্গ করে তোলার দায়িত্ব ?
বাঙালির দুই নায়কের অন্তিম পরিণতি রহস্যের ঘনঘটায় ঢাকা। একজন যুগনায়ক । চৈতন্য মহাপ্রভু। আরেকজন দেশনায়ক। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। মিথের জটাজাল ভেদ করে ঘটনার ৫০০ বছর পরে মহাপ্রভুর মৃত্যু রহস্য ভেদের আর কোনও সম্ভাবনাই নেই। এমনকি নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যেরও আর কোনও দিন কিনারা হবে কিনা সন্দেহ যদি না আমরা শেষবারের মতো এর একটা হেস্তনেস্ত করে ফেলতে পারি। এবং সেটা এখুনই। এই বছরই। হয় এবার নয় নেভার। জন্মের ১২৫ এবং অন্তর্ধানের ৭৭ বছর পরেও যদি দেশনায়কের অন্তিম পরিণতির ব্যাপারে চরম সত্যটা আমরা জানতে ব্যর্থ হই তবে আর কোনও দিনই জানতে পারব বলে মনে হয় না। ছোটবেলায় তেইশে জানুয়ারির ভোরে আলো ফোটার আগেই বিছানায় শুয়ে প্রভাতফেরি থেকে শোনা একটি গানের মুখড়া আজও মনে আছে – ‘ নেতাজি নেতাজি ফিরে এসো নিজ ঘরে / যে দীপ জ্বালিয়ে গেলে নিভে যায় বুঝি ঝড়ে। ‘ শুনে শিহরিত হতাম । যেমন হত আমার বয়সী আরও শতসহস্র বাঙালি কিশোর কিশোরী । বিবেকানন্দ নেতাজি রবীন্দ্রনাথ – এই তিনটি নাম তো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাঙালির সংস্কারের মধ্যে আপনা আপনি গেঁথে যায়। নেতাজির প্রত্যাবর্তনের দিন গুনতে গুনতে চোখের সামনেই মহাকালের নিয়ম মেনে জগৎ থেকে চির অন্তর্হিত হয়ে গেছেন আমাদের পিতৃ প্রজন্ম । তাঁদের মুখে ‘নেতাজি ফিরে আইবো ‘ শুনতে শুনতে ছোট থেকে বড় হতে হতে আমরা বুড়ো হবার পথে।
নেতাজি ফিরে আসেন নি। অথচ তাঁকে ঘিরে রহস্যের কুয়াশা কাটে নি। প্রতিটি তেইশে জানুয়ারির সকালে ঘন কুয়াশার আড়াল থেকে অচিরেই সোনালী রোদ ঝিলিক মারে কিন্তু রহস্যের কুয়াশা সরে না ভারত মায়ের শ্রেষ্ঠ ছেলের জীবন থেকে। জন্মের ১২৫ বছর পরেও বীর সুভাষের জীবনের অন্তিম পরিণতি রহস্যে ঢাকা। আমরা জানি না শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল আমাদের রিয়েল লাইফ গ্রেটেস্ট হিরোর ভাগ্যে। নেতাজির নিয়তি জানতে ভারতবাসীর আগ্রহের শেষ নেই অথচ তাঁর অন্তর্ধান রহস্য ভেদে দেশের সরকারের আন্তরিক আগ্রহ আছে বলে আজ পর্যন্ত প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
আমরা সবাই জানি , ১৯৪৫ এর ১৮ই আগষ্ট তাইহোকুতেই সুভাষ বোসের জীবনেতিহাসে সীমা টেনে দিতে চায় একপক্ষ। এরা সংখ্যায় লঘু হলেও ক্ষমতায় রীতিমতো ওজনদার। সেই সাতচল্লিশ থেকেই। আবার ভারতের জনগণের সিংহভাগ এবং বাঙালি জাতির নিরানব্বই শতাংশ বিশ্বাস করে না নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। সাধারণ মানুষ না হয় ভালবেসে আবেগের জায়গা থেকে বলে তাঁদের নেতাজি মরে নি। কিন্তু গবেষকদের গবেষণা কী বলছে ? রূঢ় বাস্তব আবেগের কথায় চলে না। অকাট্য প্রমাণই সেখানে শেষ কথা। নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের কৃষ্ণ গহ্বর থেকে ছিটকে আসা বিভিন্ন ইঙ্গিত ও সূত্র উপেক্ষা করে এখনও পর্যন্ত দেশের কোনও সরকারেরই হিম্মত হয় নি এটা বলে দেওয়ার যে অমুক দিন তমুক সময়ে সুভাষচন্দ্র বসু নামক মানুষটার মৃত্যু হয়েছে। গত চুয়াত্তর বছরে সেই চেষ্টা যদিও কম হয় নি।
বেঁচে থাকলে নেতাজির বয়স হত একশ পঁচিশ। আমি জানি সুভাষ আবার ঘোড়ায় চেপে খোলা তলোয়ার হাতে যোদ্ধৃবেশে দেশ ফিরে আসবেন- এমন ভাবনায় রোমাঞ্চিত হওয়ার মতো কিছু মানুষ এই দুই হাজার একুশেও বাংলা ভারতের বুকে আছেন। যদিও সহজাত বাস্তববোধ বলে দেশনায়ক অমর হয়ে আছেন দেশবাসীর হৃদয়ে আর রক্তমাংসের মানুষটা মহাকাব্যিক অধ্যায় হয়ে গেছেন ইতিহাসের। কিন্তু একটা প্রশ্নের মীমাংসা বাকি আছে – পৃথিবীর বায়ুতে কখন কোথায় কীভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই মহামানব, এই অকুতোভয় মহাবীর ?
আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ইতিহাসের অংশ। নেতাজির সময় ইতিহাসের অংশ। নেতাজির রাজনৈতিক শত্রু-মিত্ররাও ইতিহাসের অংশ। যতদিন দেশে ছিলেন সুভাষ বোসের রাজনৈতিক শত্রুর অভাব ছিল না। দ্বিতীয় দফায় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেও কীভাবে কংগ্রেসের ভেতরে কোনঠাসা হতে হতে এক পর্যায়ে তিনি দল ত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন সেই ইতিহাস সবার জানা। ভারতের জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে অজস্র নেতার ভিড়ে তিন পুরুষই সর্বাধিক চর্চিত। কারও ভালো লাগুক আর নাই লাগুক , ইতিহাসের পরিহাসই বলুন কিংবা বিধির বিধান, আপনি আমি মানতে বাধ্য যে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর মতো এক বিচিত্র চরিত্রের মানুষই ছিলেন ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অভিভাবক। এখন আপনি তাঁকে পছন্দ-অপছন্দ দুইই করতে পারেন কিন্তু তাতে ইতিহাসের লিখন বদলাবে না। গান্ধীর দুই পাশে দুই তরুণ সেনাপতি। একজন বাঙালি সুভাষচন্দ্র বসু আরেক জন কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু। উভয়েই জানতেন স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রনায়কের তাজ একজনের মাথায় উঠলে আরেকজনকে বঞ্চিত হতে হবে। সুভাষের দেশাত্মবোধ ছিল নিখাদ , ইংরেজ বিরোধিতা ছিল আপোসহীন এবং সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন দুঃসাহসী ও বাঙালি হওয়ার কারণে প্রচন্ড আবেগী। নেহেরু ছিলেন অত্যন্ত ধূর্ত , ঠান্ডা মাথা ও পর্দার পেছনে কলকাঠি নাড়িয়ে নীরবে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদে সিদ্ধহস্ত।
গান্ধীর ইউটোপিয় দর্শনের প্রতি যতটা অবিশ্বাস সুভাষচন্দ্র বসুর ছিল তার চেয়ে কোনও অংশে কম অবিশ্বাস ছিল না জওহরলাল নেহেরুর। গান্ধীর ধ্যানধারণাকে আড়ালে তাচ্ছিল্য করতেন নেহেরু। কিন্তু এই কাশ্মীরি পন্ডিত একটা সারকথা বুঝেছিলে , মনে যাই থাকুক কংগ্রেসের রাজনীতিতে টিকে থাকতে গেলে গান্ধীর যষ্টি আঁকড়ে পড়ে না থাকলে চলবে না। জাতীয় কংগ্রেসের ত্রিপুরি অধিবেশনে সুভাষ বোস যখন মুখের ওপর বিদ্রোহ ঘোষণা করে বাপুর বিরাগভাজন হলেন তখন নেহেরুর হিসেব কষা সারা। মতিলাল পুত্র বুঝলেন, এই সুযোগে বোসকে জাতীয় রাজনীতিতে ব্রাত্য করে দিতে পারলে আমার ভবিষ্যৎ সিংহাসন নিষ্কন্টক। এরপরের ঘটনাক্রম সবার জানা। জাতীয় কংগ্রেস থেকে ছিটকে গিয়ে মহাকাব্যিক মহাপরিযানে অবতীর্ণ হয়ে কাবুল, কান্দাহার থেকে মস্কো, বার্লিন হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে ঝড়ের গতিতে যে ইতিহাস রচনা করলেন বাঙালি সুভাষ রোমাঞ্চে তা রূপকথাকেও হার মানায়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনচরিত পাঠ করলে তাঁকে মহাকাব্যের মহাবীর কর্ণের মতোই নিয়তি তাড়িত নায়ক বলে মনে হয়। স্বাধীন ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপ্রধানের পদ যাঁর প্রাপ্য তিনি শেষ পর্যন্ত পরিণত হলেন ভারত ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা ট্র্যাজিক হিরোতে।
আপন কর্মবলে দেশবাসীর হৃদয়ে মহানায়কের আসনে বসলেও সুভাষ ঘরে ফিরলেন না। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন কে ? চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী জওহরলাল নেহেরু। মহাকালের চক্রব্যূহে কোথায় হারিয়ে গেলেন আমাদের নেতাজি ? সুভাষ ঘরে ফিরতে পারেন নি না তাঁকে ফিরতে দেওয়া হয় নি? নিয়তি তাঁকে মাঝ আকাশে দগ্ধ করল নাকি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির জটিল ষড়যন্ত্রের জালে আটকে অজ্ঞাতে অগোচরে চরম অবহেলায় , দুঃসহ যন্ত্রণায় প্রাণ গেল বাঙালির হৃদয়সম্রাটের? মানুষটিকে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত বলে প্রমাণ করার চেষ্টা কম হয় নি। সেই পঞ্চাশের দশক থেকে। তাঁর নিজের পরিবারের কয়েকজনও এই প্রক্রিয়ায় সামিল। নেতাজি বিমান দুর্ঘটনাতেই মারা গেছেন বলে যাঁরা দাবি করে গেছেন তাঁরা নিজেরাও কি তাতে বিশ্বাস করতেন ? নাকি দেশবাসীকে বিশ্বাস করানোতেই তাঁদের অধিক আগ্রহ ছিল ? নেহেরুর কর্মকাণ্ড কী বলে ? তিনি তো আমৃত্যু সুভাষের ছায়া দেখে বেড়াতেন। পুরোনো-নতুন অনেক নেতাজি গবেষকের এমনও দাবি যে ১৯৪৫এর ১৮ই আগস্টের পরেও সুভাষচন্দ্র বসুর সুলুকসন্ধান জানতেন জওহরলাল নেহেরু। দেশ স্বাধীন হয়ে যাওয়ার পরেও কলকাতায় শরৎ বসু সহ নেতাজির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নেহেরু। কার ভয়ে ? সোভিয়েত রাশিয়ায় ভারতের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে মস্কোতে পা দিয়েই সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চন্দ্র বোস সম্পর্কে কোন তথ্য জানতে পেরেছিলেন নেহেরু ভগিনী বিজয়লক্ষ্মী পন্ডিত ? নেতাজি সম্পর্কে কী জানতে পেরেও দেশে ফিরে মুখ খুলেও পরে বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নে ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রদূত সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান ( ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ) ? নেহেরুর সরকার কি নেতাজিকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ইঙ্গ-মার্কিন শক্তির হাতে তুলে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল ? নেতাজি সংক্রান্ত অনেক গুপ্ত নথী কি নেহেরু-ইন্দিরা জামানাতেই বিনষ্ট করা হয়েছিল ?
মহাকালের চক্রব্যূহে কোথায় হারিয়ে গেলেন আমাদের নেতাজি ?সুভাষ ঘরে ফিরতে পারেন নি না তাঁকে ফিরতে দেওয়া হয় নি ? নিয়তি তাঁকে মাঝ আকাশে দগ্ধ করল নাকি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির জটিল ষড়যন্ত্রের জালে আটকে অজ্ঞাতে, অগোচরে,চরম অবহেলায়,দুঃসহ যন্ত্রণায় প্রাণ গেল বাঙালির হৃদয়সম্রাটের ?
নেতাজির আবির্ভাবের ১২৫ তম জয়ন্তীতে বাঙালি কি কাঁধে তুলে নেবে না আলো আঁধারিতে লুকিয়ে থাকা এই রকম আরও অনেক রহস্যের অবসান ঘটিয়ে তার প্রিয়তম মহানায়কের অসম্পূর্ণ জীবনেতিহাসকে পূর্ণাঙ্গ করে তোলার দায়িত্ব ? অনেক তো হল মানুষটিকে নিয়ে কিছু খোলার , কিছু ঢাকার আর কিছু ধামাচাপা দেবার খেলা। দেশের কোনও সরকারের কাছ থেকে , কোনও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে নেতাজির আর কিছু পাওয়ার নেই। এই মহামানবের আর কারও কাছ থেকে কোনও স্বীকৃতি লাভের প্রয়োজন নেই। তিনি আমাদের ‘দেশনায়ক’। তিনি সকল নেতাদের নেতা একমেবোঅদ্বিতীয়ম ‘ নেতাজি ‘ এটাই দেশবাসীর কাছে থেকে তাঁর সবথেকে বড় প্রাপ্তি। কিন্তু দেশে বিদেশে সরকারের হেফাজতে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত সব ফাইল খুলতে হবে। এটাই হোক দেশনায়কের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে দেশবাসীর একমাত্র দাবি। চাওয়া এবং পাওয়া।
কিছু ফাইল খুলব । কিছু ফাইল খুলব না। ঢোক গিলে , ভাট বকে আসল কথা এড়িয়ে যাবো। ও চলবে না। বৈদেশিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ার অজুহাত অনেক হয়েছে। গঙ্গা , ভলগা , টেমস , হাডসন দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে । তিরিশ বছর আগেই সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন বাষ্প হয়ে ইতিহাসে মিলিয়ে গেছে । ইংরেজদের হম্বিতম্বি তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাথেই শেষ । আর দশ বছর পরেই মহারানীর দেশ চলবে দক্ষিণ এশিয়া থেকে আগত অভিবাসীদের কথায় । ভারতে যেই দল নেতাজির ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে সর্বাধিক সক্রিয় ছিল সংসদে পর পর দুই দফায় বিরোধী দলের মর্যাদা পর্যন্ত জোটাতে অক্ষম তারা ! পাছে সুভাষ ফিরে এলে গদি যায় এই ভয়ে যাঁর রাতের ঘুম হারাম হয়েছিল , তাঁর সর্বশেষ বংশধরটি কোনও দিন তখতে বসতে পারবেন এই আশা বোধহয় তিনি নিজেও বিসর্জন দিয়েছেন। কাজেই ঘরে বাইরে কোনও বাধা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের হেফাজতে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত যাবতীয় গোপনীয় ফাইলস ডিক্লাসিফাই করে দিলে কোনও কোনও রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে – এই ঢপ বিশ্বাস করার আর কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ অবশিষ্ট থাকতে পারে না। অন্যদিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর তথাকথিত অন্তর্ধানের ৭৬ বছর পরে রাশিয়া , জাপান , ইউকে – যার হাতে নেতাজি সংক্রান্ত যা যা তথ্যাদি আছে তা লোকচক্ষুর সামনে এলে কারও কোনও স্বার্থহানি হবে না। কিন্তু লাভ হবে ভারতের, ভারতের ইতিহাসের। নেতাজিকে নিয়ে সকল রহস্য উদঘাটিত হোক। নেতাজির সকল সত্য উন্মোচিত হোক। সেই সত্য যত নির্মমই হোক মেনে নেব আমরা। নেতাজি আমাদের। আমরা নেতাজির।