জলপাইগুড়ি : চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী সহ করোনার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়ছেন এমন কর্মীদের কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু হল সোমবার থেকে। কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন ষাটোর্ধ্ব নাগরিকেরাও বুস্টার ডোজ এ’দিন থেকে বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন। সারা দেশেই এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার কমপক্ষে নয় মাস পরে বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে। ককটেল ডোজ চলবে না। অর্থাৎ প্রথম দুটি ডোজ কেউ কোভ্যাক্সিন নিলে তাঁকে বুস্টার ডোজ হিসেবে কোভ্যাক্সিনই নিতে হবে। বুস্টার ডোজ নিতে চাইলে কো-উইন অ্যাপে আগের থেকে নাম নথিভুক্ত করার দরকার নেই। সরাসরি ভ্যাকসিন সেন্টারে গেলেই টিকা পাবেন যোগ্যরা।
ওমিক্রনের ধাক্কায় এখন সারা দেশে প্রতিদিন অজস্র মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে বড় সংখ্যায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাওআছেন। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা নিভৃতবাসে তাঁরা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন কিনা কিম্বা কবে নাগাদ নিতে পারবেন সেই বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা পাওয়া যায় নি। প্রথমে জানানো হয়েছিল কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে দুটি টিকাই যথেষ্ট। পরবর্তী সময়ে বিশেষজ্ঞরা বলা শুরু করলেন ডবল ডোজ প্রদত্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় নয়-দশ মাসের মধ্যেই। পুনরায় সংক্রমণ এড়াতে তাই বুস্টার ডোজও জরুরী। কেউ কেউ এমনও বলছেন যে কোভিড থেকে বাঁচতে বছর বছর ভ্যাকসিন নিতে হতে পারে।
সারা দেশ ও রাজ্যের পাশাপাশি সোমবার জলপাইগুড়ির ফার্মাসি কলেজের ভ্যাকসিন সেন্টারেও বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু হয়। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তৃতীয় টিকা নেন। বুস্টার ডোজ নিলে শরীরে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সক্ষমতা ফের শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে জানালেন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ডঃ রাহুল ভৌমিক। কোমর্বিডিটি থাকা ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের ভ্যাকসিন সেন্টারে এসে দ্রুত বুস্টার ডোজ নিয়ে নিতে আবেদন জানালেন তিনি।
Video and Photo- Reporter. Feature image is symbolic.