জলপাইগুড়ি : মঙ্গলবার সকালে শহরের তিস্তা উদ্যানে পায়ের ছাপ মিললেও এখনও ভালুকের দেখা পাওয়া যায় নি জলপাইগুড়িতে । তবে বৃহস্পতিবার সকালে ভালুকের দেখা মিলল মালবাজার শহরে । শহরের এগার নম্বর ওয়ার্ডের বাটাইগোলা বাজার এলাকার একটি বাড়িতে ভালুক ঢুকে পড়ে । হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার প্রজাতির এই ভালুকটি নেহাতই বাচ্চা। পাড়ায় ভালুক ঢুকেছে খবর পেয়ে এলাকার লোক ভিড় করে বাড়িটিতে । লোকজন দেখে ঘরের কোনায় , আসবাবপত্রের ভেতরে ভয়ে জড়সড় হয়ে লুকোনোর চেষ্টা করে ভালুক শাবকটি । ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় পরিবেশকর্মীরাও । খবর যায় বন দফতরেও । কীভাবে ভালুক শাবকটিকে নিরাপদে লোকালয় থেকে বের করে আনা যায় সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন বনকর্মীরা ।
মালবাজার শহরে ঢুকে পড়া ভালুকটি যেই হেতু বাচ্চা,তাই ধরেই নেওয়া যায় বাচ্চাটি একা আসে নি, কোনও ভাবে দলছুট হয়ে পড়েছে। মা ভালুক বা দলে থাকা বাকি শাবকরাও শহরে ঢুকে পড়েছে বলে অনুমান করছেন বন দফতরের আধিকারিকেরা। নেওড়া ভ্যালি ও ভুটান পাহাড়ের জঙ্গলে হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার প্রজাতির ভালুকের স্বাভাবিক আবাসস্থল। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই জলপাইগুড়ি জেলার সমতলে ভালুকের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডুয়ার্সের লোকালয়েও ভালুক ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দুটি ভালুককে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়েছেন বনকর্মীরা। লোকালয়ে ঢুকে পড়া একটি ভালুকের মৃত্যুও হয়েছে। লোকালয়ে ভালুক ঢুকে পড়ার খবরে স্বাভাবিক ভাবেই জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কোনও ধরণের গুজবে কান না দিতে বা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে নাগরিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছে বন দফতর।
জলপাইগুড়ি শহরে এখনও ভালুকের দেখা না মিললেও সতর্কতায় কোনও ঢিলেমি দিতে নারাজ বন দফতর । তিস্তা উদ্যান বন্ধ রাখা হয়েছে। সংলগ্ন এলাকা জুড়ে তল্লাশি চলছে । ভালুক ধরার জন্য খাঁচাও পেতেছেন বনকর্মীরা। ভালুকের দল কেন আবাসস্থল ছেড়ে বেরিয়ে আসছে , এই প্রশ্ন উঠেছে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশপ্রেমীদের মধ্যে ।
ছবি ও ভিডিও- সংবাদদাতা।