বিশেষ প্রতিবেদন : নিজের দেশ সম্পর্কে শুভ ও ইতিবাচক চিন্তা করার মতো বড় মাপের , বড় মনের মানুষের খুব অভাব আমাদের দেশে । স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই নিজের দেশ সম্পর্কে আমরা খুব হতাশ এবং আমাদের কথা ও কাজে সেই হতাশার প্রতিফলন হামেশাই ঘটে থাকে । সঙ্কটের মুহুর্তে তো কথাই নেই । তখন আমাদের সবথেকে ভালো বিনোদন হয়ে দাঁড়ায় ব্লেম গেমে মেতে ওঠা । পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে সক্ষম এমন কৌশল উদ্ভাবন দ্বারা দেশের পরিচালকদের সাহায্য করার চাইতে কঠোর সমালোচনা ও নেতিবাচক প্রচারের দ্বারা সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করাতেই অধিক আনন্দ পাই আমরা । এবং সেটা করতে গিয়ে আমরা ক্ষতি করে বসি নিজের দেশের , নিজের জাতির । স্বাধীনোত্তর ভারতে যে অল্প কজন কৃতী মানুষ কখনোই ব্লেম গেমে না নেমে সর্বদা ইতিবাচক কাজে নিয়োজিত থেকেছেন এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনা দ্বারা দেশবাসীকে মানসিক শক্তি জুগিয়েছেন তাঁদের মধ্যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম , মিল্কম্যান ভার্গিস ক্যুরিয়ান , সবুজ বিপ্লবের কারিগর এস স্বামীনাথন অগ্রগণ্য । বর্তমান সময়ে দেশের আরও একজন কৃতী সন্তান হবে না , হচ্ছে না , সব গোল্লায় যাচ্ছে মার্কা নেতিবাচক কথা বলে জনগণকে ভড়কে না দিয়ে সব সময় আশা-ভরসার কথা শোনান, তিনি ডঃ দেবী শেঠি । জগতে যে মানুষদের নামটাই তাঁদের যাবতীয় কর্মের একমাত্র পরিচয় হয়ে ওঠে ডঃ দেবী শেঠি তেমনই একজন । ডঃ দেবী শেঠির পরিচয় তিনি ডঃ দেবী শেঠি ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন আমরা সবাই দিশেহারা । সরকার ব্যতিব্যস্ত । হতাশা , ভয় আর আতঙ্ক যখন দেশবাসীকে গ্রাস করে ফেলেছে এবং চতুর্দিকে যখন করোনা প্যান্ডেমিকের সমান্তরাল ভুল , মিথ্যা ও মনগড়া তথ্যের আরও একটি প্যান্ডেমিকের জেরে জনগণ চোখে সর্ষেফুল দেখছে তখন সরকারের সামনে সার্ভাইভাল স্ট্র্যাটেজি রাখলেন দক্ষিণ এশিয়ার সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় কার্ডিয়াক সার্জেন ডঃ দেবী শেঠি । দিন কয়েক আগে পুনের সিমবায়োসিস ইউনিভার্সিটির একটি ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে ডঃ শেঠি এই ভয়াবহ অতিমারি কালে স্বাস্থ্য বিপর্যয় মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যে মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট গড়ে তোলার পরিকল্পনা সরকারের সামনে রেখেছেন তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সর্বত্র।
দেশে দৈনিক পৌনে চার লক্ষ করে নতুন পজিটিভ কেস শনাক্ত হচ্ছে । ডঃ শেঠি মনে করেন , এটা হিমশৈলের চুড়ো মাত্র । প্রতিটি শনাক্তকৃত কোভিড পজিটিভের সমান্তরাল আরও পাঁচ থেকে দশজনের পজিটিভ হওয়ার আশঙ্কা। কিন্তু তারা পরীক্ষায় আসছেন না । দেশে প্রকৃতপক্ষে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লক্ষ করে মানুষ কোভিড সংক্রমিত হচ্ছে বলে ডঃ দেবি শেঠির অনুমান । করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর ভারত জুড়ে এখন অক্সিজেনের জন্য হাহাকার । দেশে অক্সিজেনের সংকটে রোগী মৃত্যুর খবর গুলো ডঃ শেঠিকে বিমর্ষ করে তুললেও তিনি আশাবাদী আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যেই সঙ্কট কেটে গিয়ে দেশের হাসপাতাল গুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে । পদ্মভূষণ সম্মান প্রাপ্ত দেশের প্রখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জেনের এই আশাবাদের উৎস গত বছর কোভিডের প্রথম ঢেউ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা । ২০২০ এর মার্চে ভারতকে যখন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে হল তখন কোভিড যোদ্ধাদের দেওয়ার মতো কোনও পিপিই বর্ম দেশের সরকারের হাতে ছিল না । সেই সময় সরকারি-বেসরকারি সমস্ত ক্লিনিক মিলিয়ে সারা দেশে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ছিল মাত্র তিরিশ হাজার । মাত্র আট সপ্তাহের চেষ্টায় চাহিদার অতিরিক্ত পিপিই ও ভেন্টিলেটর উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করি আমরা । পরবর্তী চার সপ্তাহের মধ্যে এই দুটো জরুরী চিকিৎসা সামগ্রী বিদেশে রপ্তানি করার জায়গায় পৌঁছে যান ভারতের উৎপাদকেরা । ভারতের এই সাফল্যকে অনবদ্য বলে মনে করেন ডঃ দেবী শেঠি। ভাইরাসের চরিত্র বদলের কারণেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের একটি বড় অংশের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে ডঃ শেঠির পর্যবেক্ষণ । তবে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস , দেশের বিশাল শিল্পক্ষেত্র ও সরকার -উভয়ের আন্তরিক চেষ্টায় কয়েক সপ্তাহের ভেতরেই অক্সিজেনের চলতি সঙ্কট কাটিয়ে উঠবে ভারত ।
ওয়েবিনারে নিজের মতামত রাখছেন ডঃ দেবী শেঠি । |
ওয়েবিনারে ডঃ দেবী শেঠি বলেছেন , অক্সিজেনের ঘাটতি নয় আমাকে বিনিদ্র রজনী যাপন করাচ্ছে অন্য কয়েকটি উদ্বেগ । পিপিই , ভেন্টিলেটরের সঙ্কট যেমন মিটে গেছে তেমনি অক্সিজেনের সমস্যাও দ্রুত মিটে যাবে । ডঃ শেঠির প্রথম উদ্বেগ , আগামী কয়েক সপ্তাহের ভেতর দেশের বিশাল সংখ্যক কোভিড আক্রান্তকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হবে । পরিসংখ্যান থেকে বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে অন্ততঃ পাঁচ শতাংশের জীবন রক্ষায় রোগীদের আইসিইউতে স্থানান্তরের বাইরে কোনও বিকল্প নেই । এবং এই ব্যাপারে সংক্রমণের জটিলতাই মুখ্য আক্রান্তের বয়স কোনও সুরক্ষা কবচ নয়। এখনই প্রতিদিন প্রায় চার লক্ষ করে অ্যাক্টিভ কেস শনাক্ত হচ্ছে দেশে । যদিও ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমিতের প্রকৃত সংখ্যাটা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা ।ডঃ শেঠির মতে রোজ ১৫ থেকে ২০ লক্ষ মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন , সরকারের খাতায় আক্রান্ত হিসেবে যাদের নাম উঠছে না । দৈনিক আক্রান্তের যা সরকারি পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে তার ভিত্তিতেই দেশ জুড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮০ হাজার করোনা রোগীকে আইসিইউ ‘তে স্থানান্তর করা দরকার বলে মনে করেন ডঃ দেবী শেঠি ।
ভারতে এই মুহুর্তে ৭৫ থেকে ৯০ হাজার আইসিইউ বেড রয়েছে , যা ইতিমধ্যেই চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীতে পূর্ণ । ডঃ দেবি শেঠি সতর্ক করে দিয়ে জানাচ্ছেন কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শীর্ষে পৌঁছায় নি এবং দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হওয়ার পর তৃতীয় ঢেউয়ের জন্যও প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে আমাদের । একজন সঙ্কটাপন্ন করোনা রোগীকে কমপক্ষে ১০ দিন আইসিইউতে সার্বক্ষণিক পরিচর্যার মধ্যে রাখার দরকার হয় । সংক্রমণ পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে কমপক্ষে অতিরিক্ত পাঁচ লক্ষ বিশেষ কোভিড আইসিইউ বেড প্রস্তুত করতে হবে । চাইলে এই অসাধ্য সাধনও ভারত সম্ভব করে তুলতে পারে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দেশের এই প্রখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জেন । কিন্তু তাতেও সমস্যা মিটছে না । । ডঃ দেবী শেঠিকে উদ্বেগে রেখেছে দ্বিতীয় যে বিষয়টি সেটি হল দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় কোভিড সুনামি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জনবল । চিকিৎসক , নার্স আর প্যারা মেডিক্সদের নিয়ে এই জনবল তৈরি হয় । ডঃ দেবী শেঠির মতে আইসিইউতে ভর্তি একজন কোভিড রোগীর নিরাময়ে চিকিৎসকের থেকে নার্সের ভূমিকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ । একজন কোভিড রোগীকে যত ভালভাবে পরিচর্যা করা যাবে তার সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার সম্ভাবনা ততই উজ্জ্বল হবে ।
কোভিড প্যান্ডেমিক শুরু হওয়ার আগে আমাদের দেশের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীর ঘাটতি ছিল ৭৮ শতাংশ । সরকারি হাসপাতাল গুলিতে পরিকাঠামোর অভাব নেই কিন্তু অভাব প্রশিক্ষিত জনবলের। পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক , নার্স এবং প্যারা মেডিক্যাল স্টাফের অভাবেই দেশের সরকারি হাসপাতাল গুলি কোভিড রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দিতে পারছে না বলে মনে করেন ডঃ দেবী শেঠি। অথচ করোনা অতিমারি সামাল দিতে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার কোনও বিকল্প নেই বলে মত পোষণ করেন তিনি । সঙ্কট উত্তরণে সরকারকে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন পদ্মভূষণ সম্মান প্রাপ্ত চিকিৎসক । করোনা অতিমারিকে দেশের জন্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বলে বর্ণনা করেছেন ডঃ দেবী শেঠি । শত্রুরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে দেশের সেনাবাহিনী যেভাবে জরুরী ভিত্তিতে সৈন্য সংগ্রহ করে ঠিক সেভাবেই চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছেন ডঃ দেবী শেঠি ।
ডঃ শেঠি বলেন , আমাদের মতো প্রবীণ চিকিৎসকদের পক্ষে কোভিডের মতো ভয়ঙ্কর সংক্রমক রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া সম্ভব নয় । এই কাজটি করতে হবে একেবারে তরুণ চিকিৎসক , নার্সিং ও প্যারা মেডিক্যাল স্টাফদের । তারুণ্যের কারণেই যাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে এবং একই কারণে যাদের শরীর ভ্যাকসিনের অ্যাডভান্টেজ অনেক বেশি গ্রহণ করতে পারবে ।
করোনা নিয়ে ভ্রান্তিবিলাসে এখনও যদি কেউ মজে থাকেন তবে তা ঝেড়ে ফেলতে বলেছেন ডঃ শেঠি । আমেরিকা ও ইউরোপের মানুষের সঙ্গে করোনা ভাইরাস যে ধরণের ব্যবহার করেছে তার থেকে আলাদা কিছু আমাদের সঙ্গে করবে এই ধারণা নিয়ে বসে থাকলে ভারতকে অচিরেই চড়া মূল্য দিতে হবে । জিনগত বা পরিবেশগত কারণে কোভিডের ভাইরাস দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের সঙ্গে পেরে উঠবে না – এরকম একটি ধারণার বশবর্তী হয়ে আমরা নিশ্চিন্তে বসেছিলাম । কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এসে সেই ধারণা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে । ডঃ দেবী শেঠি বলেন, কে আমেরিকান আর কে ইন্ডিয়ান ভাইরাস সেই বাছবিচার করে না । করোনা সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে ডঃ দেবী শেঠির মনে হয়েছে , আগামী এক বছরের মধ্যে দুই লক্ষ নার্স ও দেড় লক্ষ ডাক্তার তৈরি করা দরকার, যারা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলবেন । তাঁর ধ্রুব বিশ্বাস – পৃথিবীতে আমরাই একমাত্র দেশ যারা এই মিরাকল করে দেখাতে পারি ।
কীভাবে মাত্র এক বছরেই দুই লক্ষ নার্স ও দেড় লক্ষ ডাক্তার তৈরি করে কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামিয়ে দেওয়া সম্ভব তার একটি রূপরেখা সরকারের সামনে রেখেছেন ডঃ দেবী শেঠি । দেশজুড়ে ২ লক্ষ ২০ হাজার নার্সিং ছাত্রী তিন বছরের জিএনএম ও চার বছরের বিএসসি নার্সিং কোর্সের প্রশিক্ষণ শেষ করে ফাইনাল পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছে । সরকার ও ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল মিলে যদি পরীক্ষায় বসার বদলে এক বছর কোভিড আইসিইউতে কাজ করার শর্তে এই দুই লক্ষ ছাত্রীকে ডিগ্রি প্রদানের প্রস্তাব দেয় তবে অধিকাংশ নার্সিং কোর্সের ছাত্রীই প্রস্তাবটি লুফে নেবে বলে মনে করেন ডঃ দেবী শেঠি । অধিকন্তু ভবিষ্যতে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় নিয়োগের সময় কোভিড আইসিইউতে কাজ করা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দের অগ্রাধিকার দেওয়া হলে সরকারের প্রস্তাব আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে তাদের কাছে ।
এবার এক বছরের মধ্যে দেড় লক্ষ তরুণ চিকিৎসক কীভাবে পাওয়া যাবে তারও একটি রূপরেখা হাজির করেছেন ডঃ শেঠি । ১ লক্ষ ৩০ হাজার তরুণ চিকিৎসক ইন্টার্ন লাইফ শেষ করে এখন বাড়িতে বসে পিজি কোর্সে সুযোগ পেতে নিট ( NEET ) পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত । পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে ৩৫ হাজার সিট রয়েছে । যে এক লক্ষ ডাক্তার নিটে ব্যর্থ হবে তাদের কোভিড আইসিইউতে এক বছর কর্মরত থাকার শর্তে পরবর্তী নিট পরীক্ষায় গ্রেস মার্কস প্রদানের আশ্বাস দিলে অধিকাংশ তরুণ উচ্চাকাঙ্ক্ষী চিকিৎসক এই শর্তে রাজি হবে বলে মনে করেন ডঃ দেবী শেঠি । এর জন্য মেডিকেল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ও ন্যাশনাল বোর্ড অব এক্সামিনেশনকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে । অনলাইনে দ্রুত নিট পরীক্ষার ব্যবস্থা করা গেলে এক বছরের মধ্যেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে কোভিড আইসিইউ’র জন্য চিকিৎসক সংগ্রহ সম্ভব বলে মনে করেন ডঃ শেঠি । এর বাইরেও চিকিৎসক সংগ্রহের পথ বাতলে দিয়েছেন তিনি ।
কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জিততে অতিরিক্ত পাঁচলক্ষ আইসিইউ বেড প্রস্তুত করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন ডঃ দেবী শেঠি । |
আরও ২৫ হাজার তরুণ চিকিৎসকের কথা উল্লেখ করেছেন ডঃ দেবী শেঠি , যারা বিভিন্ন মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল শাখায় স্পেশালাইজেশনের প্রশিক্ষণ শেষ করে পরীক্ষা দেওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে । কোভিড আইসিইউতে এক বছর কাজ করার শর্তে পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে তাদের অনেকেই এতে সম্মতি জানাবে বলে আশাবাদী তিনি । বিগত বছর গুলোতে যে চিকিৎসকেরা পরীক্ষায় সফল হতে পারে নি তাদের একই শর্তে বিনা পরীক্ষায় ডিগ্রি প্রদানের আশ্বাস দিলেও কাজ হবে বলে মনে করেন ডঃ দেবী শেঠি । ভয়াবহ এই স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের দিনে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত দেশের কয়েক হাজার ডিপ্লোমা হোল্ডার মেডিকেল স্পেশালিস্টের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ডঃ শেঠি । ইনটেনসিভ কেয়ার কার্ডিওলজি অথবা এমার্জেন্সি মেডিসিনের ওপর প্রশিক্ষণ পাওয়া এই স্পেশালিস্টদের মেডিক্যাল কাউন্সিল স্বীকৃতি দিয়ে দিলে কোভিড আইসিইউ গুলো সামাল দেওয়ার মতো যোগ্য ও দক্ষ স্বাস্থকর্মী সহজেই পেয়ে যাবে সরকারি হাসপাতাল গুলি ।