Views: 1,244
নাগরিক নিউস পলিটিক্যাল ডেস্ক : যে মাঠে দাঁড়িয়ে সভা করে গেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ৪৮ ঘন্টা পরে ঠিক সেই মাঠে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে মুখের লাগাম হারালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । বুধবার হুগলীর সাহাগঞ্জে তৃণমূলের জনসভায় দাঁড়িয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কিম্ভুতকিমাকার ও হোদল কুতকুত বলে বিদ্রুপ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন , ‘ এই দেশে এখন দুটো নেতা । একটা নেতা হোদল কুতকুত । আরেকটা নেতা কিম্ভূতকিমাকার। জানি না এর ইংরেজি-হিন্দী কী । টিপিক্যাল বাংলায় বললাম । আপনারা ইংরেজি করে নেবেন । ‘ দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন শব্দচয়ন নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক পরিসরে জোর বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপির নেতারা ।
|
হুগলীর সাহাগঞ্জে ভাষণ দিচ্ছেন মমতা ব্দ্যোপাধ্যায় |
সভায় তোলাবাজি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগকেও বেশ হাল্কাচালেই উড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী । প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘ কথায় কথায় বলে তৃণমূল কংগ্রেস সব তোলাবাজ । আপনি কী ? আপনি তো সবথেকে বড় দাঙ্গাবাজ । সবথেকে বড় ধান্ধাবাজ । যারা পাঁচ টাকা , দশ টাকা করে তোলে তাদের বলে তোলাবাজ । আর যারা কোটি কোটি টাকা তোলে তাদের কী বলে ? গ্রামের গরীব মানুষ যারা পাঁচ টাকা , দশ টাকা করে তোলে তাদের বলে তোলাবাজ । আর যারা দেশকে দেশ বিক্রি করে দেয় , কারখানার পর কারখানা বিক্রি করে দেয় । তারা কী খায় ? তারা বুঝি র্যাটমানি খায় । ক্যাটমানি খায় । ‘ মমতা বলেন, ‘ আপনারা খেলে র্যাটমানি আর গরীব খেলে কাটমানি । নেংটি ইঁদুরের দল সব । ‘ শাসকদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে সরব বাম-কংগ্রেস এবং বিজেপি সহ বিরোধী পক্ষের সবাই । বুধবার হুগলীর সাহাগঞ্জের জনসভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে পরিস্কার তোলাবাজিকে গরীব মানুষের পাঁচ টাকা , দশ টাকা তুলে খাওয়ার বেশি কিছু মনে করেন না তিনি । অন্ততঃ এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল । তোলাবাজি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যেকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিজেপি নেতারা ।
|
সাহাগঞ্জের সভা থেকে তোলাবাজিকে গরীবের পাঁচ-দশ টাকা তুলে থাকা বলে ব্যাখ্যা মুখ্যমন্ত্রীর |