বুধবার নাম না করেই অভিষেককে পাল্টা ফিরিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী । এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন,‘ ওর মধ্যে অনিল বসুকে আমি দেখতে পাচ্ছি , ২০১১ সালের আগের অনিল বোস আরামবাগের । ‘ বিজেপির বহিরাগত নেতাদের হাতে বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে – বিভিন্ন সভা থেকে এমন অভিযোগ করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জবাবে অভিষেকের কাঁথির ভাষণ তুলে খোঁচা দেন শুভেন্দু । শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘ কাঁথিতে আমার বাড়ি থেকে দশ কিলোমিটার দূরে সভা করতে গেছে । কী সুন্দর ভাষা দেখুন ! বাংলার সংস্কৃতি দেখুন । বলছে, তোর বাপকে ডেকে নিয়ে আয় । দাঁড়িয়ে আছি । আড়াই হাজার পুলিশ সঙ্গে নিয়ে গেছে । বলছে আসো দেখে নেবো ।’ এই ধরণের হুমকি-ধামকির রাজনীতি তারা করেন না বলে দাবি করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘ লক্ষ্মণ শেঠও এই একই কথা বলেছিল। বলেছিল নন্দীগ্রামে ঢুকলে পা কেটে নেবে । পা আমার আজও অক্ষত আছে । লক্ষ্মণ শেঠ নেই । ‘
নোয়াপাড়ায় বিজেপির সভায় ভাষষণ দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী |
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতা হিসেবে মানতে অস্বস্তি থাকাতেই যে তাঁর তৃণমূল ত্যাগ নোয়াপাড়ার জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণেই তা স্পষ্ট । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাইপোকে নেতা হিসেবে দলের মধ্যে চাপিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী । শুভেন্দু বলেন, ‘ আপনি ( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ) বলেছিলেন ভাইপোকে নেতা মানতে হবে । আপনি পার্টিটাকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত করেছেন । আমরা আপনার তোলাবাজ ভাইপোকে নেতা মানব কেন ? তিনি কে ? কবে ছাত্র রাজনীতি করেছেন ? কবে যুব রাজনীতি করেছেন ? কবে রাস্তায় সিপিএমের বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল করেছেন ? ‘ শুভেন্দুবাবুর ভাষায় , ‘ ২০১১ সালের ২১শে জুলাই দিল্লি থেকে ল্যান্ড করিয়ে সোনার চামচ ধরিয়ে দিয়েছেন । ‘ তোলাবাজ ভাইপো শব্দটা যে তিনি চালিয়েই যাবেন এই ইঙ্গিত দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ আমি তো নাম বলি নি । তোলাবাজ ভাইপো বলেছি । তোলাবাজ ভাইপো বলেছি দেখে রেগে যাচ্ছেন । কেঁপে যাচ্ছেন মঞ্চে । এত কাঁপার কী আছে ? এত রাগের কী আছে ? বলছে আমার বৌকে নিয়ে টানাটানি করছে । আমরা নারীকে , মাকে সম্মান করি । আমি তো শুধু বলেছিলাম ম্যাডাম নারোলার অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে । আমি তো বলি নি আপনার স্ত্রীর কথা । ‘
নোয়াপাড়ার সভা থেকে ফের অভিষেককে ‘ভাইপো’খোঁচা শুভেন্দুর |
ভিডিও-