প্রদ্যুৎ দাস : আগামী শনিবার ( ১৬ জানুয়ারি , ২০২১ ) থেকে কোভিডের টিকাকরণ শুরু হবে ভারতে । একযোগে দেশের তিন হাজার কেন্দ্রে প্রথমদিন তিন লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে । এরা প্রত্যেকেই প্রথম সারিতে থাকা করোনা যোদ্ধা । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে টিকাকরণ কর্মসূচীর সূচনা করবেন বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার টিকাকরণের জন্য দেশের প্রতিটি রাজ্যে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন নামে দুটি করোনা ভ্যাকসিন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেই করোনা প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিনেশনের কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার । পুরো প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সেও বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন -দুটি ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে ভারত সরকার |
শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হচ্ছে করোনা প্রতিরোধে টিকাকরণ । কলকাতায় এই কর্মসূচীর সূচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় বিশেষ ইনস্যুলেটেড ভ্যাকসিন ভ্যানে করে টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । রাজ্যে প্রথম দফায় সাত লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
জলপাইগুড়ি জেলায়ও এসে গেছে করোনার টিকা |
বৃহস্পতিবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলায়ও করোনা টিকা এসে পৌঁছেছে । উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ ইনস্যুলেটেড ভ্যাকসিন ভ্যানে চাপিয়ে জেলার জন্য বরাদ্দকৃত টিকা নিয়ে আসেন স্বাস্থ্য কর্মীরা । জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কেন্দ্রীয় স্টোরের নির্দিষ্ট জায়গায় সেগুলো সযত্নে সংরক্ষণ করা হয়েছে । প্রথম দফায় চিকিৎসক , নার্স , হেলথ অ্যাসিসটেন্ট সহ স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে জড়িত জেলার প্রায় এগারো হাজার মানুষ টিকা পাবেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে। দ্বিতীয় দফায় পুলিশ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা টিকা পাবেন । আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশের তিরিশ কোটি মানুষকে কোভিড নাইন্টিন ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ।