প্রদ্যুৎ দাস , জলপাইগুড়ি , ৩০ ডিসেম্বর : ভোটের ফল প্রকাশের আগে দলে গোষ্ঠীকোন্দল করলে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র । বুধবার জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে তৃণমূলের এক সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় এই হুঙ্কার শোনা গেল ওমপ্রকাশবাবুর গলায় । ২০১৯ এর ৪ঠা সেপ্টেম্বর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি । কংগ্রেসে থাকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কঠোর সমালোচনা করতেন ওমপ্রকাশ মিশ্র । যদিও এখন তিনি তৃণমূলের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য ও জলপাইগুড়ি জেলায় দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে । সাংগঠনিক কর্মসূচীতে জলপাইগুড়িতে এসেছেন ওমপ্রকাশবাবু । জলপাইগুড়িতে দলের গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশেই ওমপ্রকাশ মিশ্রের এই সফর বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। জেলায় দলের গোষ্ঠী কোন্দল যে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বেশ চিন্তায় রেখেছে তার প্রমাণ প্রকাশ্য সভায় গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে পর্যবেক্ষকের এই চাঁচাছোলা হুঁশিয়ারি । এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
তৃণমূলের সভায় ভাষণ দিচ্ছেন ওমপ্রকাশ মিশ্র |
এদিন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুরে সভায় দাঁড়িয়ে ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘ গোষ্ঠী কোন্দল । কী যেন বলে না । গোষ্ঠীকোন্দল । ১৪ই জুনে গোষ্ঠীকোন্দল হবে । ১৪ই জুনে গোষ্ঠীকোন্দল শুরু করা যেতে পারে। পাঁচমাস পরে । তার আগে যদি হয় । আমি এখানেই থাকব মোটামুটি । তার আগে হলে কিন্তু ঘাড় ধাক্কা । আর কোনও ভাবে যদি কেউ ব্ল্যাকমেলিং করার চেষ্টা করে । কোনও ভাবে যদি কেউ মনে করে যে দলের উর্ধ্বে গিয়ে দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করবে । সাবোতাজ করার চেষ্টা করবে । অপকর্ম করে দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করবে তবে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে । ‘
জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে তৃণমূলের জনসভা |
দলের ভেতরে অন্তর্ঘাত যে তৃণমূল নেতৃত্বকে ভাবাচ্ছে তা ওমপ্রকাশ মিশ্রর এদিনের কথাতেই স্পষ্ট বলে অনেকে মনে করছেন । ওমপ্রকাশবাবু বলেন, ‘ এখানে এসেই বলে দিয়েছি আমার প্রয়োজন নেই কোনও সাহায্যের যদি সে পার্টির সঙ্গে বেইমানি করে বা পার্টির সঙ্গে সাবোতাজ করে । ‘ সভা থেকে ভোটপর্ব না মেটা পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীদের ইগো ভুলে একসাথে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি । এখন দেখার ভোটের মুখে পর্যবেক্ষকের হুঁশিয়ারিকে আদৌ গ্রাহ্যের মধ্যে আনেন কিনা জেলা তৃণমূলের বিবদমান গোষ্ঠী গুলি ।