নাগরিক নিউজ: বাঙালির জিনের ভেতরেইআছে আহার , বিহার আর আড্ডা ।বাঙালির কাছে উৎসবমানেই পেটনারায়ণের আরাধনা। বাঙালিএকই সঙ্গেপোয়েটিক এবং পৈটিকও। আজ ভাইফোঁটা ।ভাইবোনের পবিত্র সম্পর্কের এতচমৎকার সেলিব্রেশন দুনিয়ার আরকোথাও হয় না। বাঙালির সংসারেভাইবোনের সম্পর্কের কেমিস্ট্রিটাই আলাদা। যেমন খুনসুটি , চুলোচুলি তেমনিএকের প্রতি অপরেরপ্রাণের টান ।তবে প্রাণে যতই টানথাকুক বাঙালির চিঁড়েশুধু কথায় ভেজেনা । জামাইষষ্ঠীইহোক আর ভাইফোঁটা – মঙ্গল কামনারপর্ব চুকতে নাচুকতেই পাঁচ রকমের মিষ্টির প্লেটটি বাড়িয়ে দিতেহয় । স্রেফমিষ্টি খাইয়ে পারপাওয়া যাবে এমনউৎসব বাঙালি পালনকরে না ।তাই উৎসবের সকালেবাঙালির কম্পালসারি ডেস্টিনেশন বাজার। ভাইফোঁটাতেও এরব্যতিক্রম হয় না।
দাদার পাতে খাসিরদোপেঁয়াজা কিম্বা ইলিশেরপাতুরি তুলে নাদিতে পারলে বোনেদের মনেরউচাটন ভাব দূরহয় না ।যম দুয়ারে সদ্যসদ্য কাঁটা বিছিয়ে দেওয়ার পরসোহাগের ভ্রাতাদের বিপি কোলোস্টেরলের লেভেলনিয়ে কীসের টেনশন। সোমবার সকালেগোটা বাংলার বাজারজুড়েই ছিল বেজায় হুড়োহুড়ি । করোনা থাকআর যাক ভাইফোঁটা বলেকথা । ভায়েরা বোনেরা, ভাইবোনের বাবামায়েরা দলেদলে থলে হাতেহাজির মাছের বাজারে, মাংসের দোকানে ।ইংলিশ এবং ইলিশেরপ্রতি বাঙালির দুর্বলতা চিরকালের ।তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির আবারপদ্মার ইলিশের গন্ধনাকে এলে হিতাহিত জ্ঞানথাকে না।
ভাইফোঁটার সকালে জলপাইগুড়ির দিনবাজারে বাংলাদেশের ইলিশবিকোলো পনেরোশো থেকেদুই হাজার টাকাকেজি দরে ।পশ্চিমবঙ্গের লোকাল ইলিশেরবড় সাইজের দামঘোরাঘুরি করল ৮০০থেকে ১০০০ টাকারমধ্যে। আর যাদেরভাইফোঁটায় ইলিশ খাওয়ানোর সাধআছে কিন্তু সাধ্যনাই তারা ডায়মন্ডহারাবারের ছোট ইলিশ কিনে নিয়েগেলেন ৩০০ টাকাকেজি দরে ।বাজার জুড়ে ইলিশেরআমদানি মন্দ ছিলনা। ভিড়ওছিল থিকথিকে ।বাঙালির উৎসব এবংখাওয়ার এই অনমনীয় স্পিরিট দেখারপর লজ্জা পেয়েইনা করোনা বাংলাথেকে পালায় ।
এই প্রতিবেদনে তথ্য , ছবি ও ফুটেজ জুগিয়েছেন প্রদ্যুৎ দাস