প্রদ্যুৎ দাস , জলপাইগুড়ি, ১৪ ডিসেম্বর : জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার – এই দুই জেলার তৃণমূল নেতাদের কোন্দল মিটিয়ে একসাথে লড়াইয়ের নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ লাইনের হেলিপ্যাডে অবতরণ করে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার । নেমেই সোজা পূর্ত দফতরের পরিদর্শন কুঠিতে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী ।
হেলিকপ্টার থেকে নেমে গাড়ির দিকে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |
বিকেলে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব , সাংগঠনিক পদাধিকারী এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নিজেদের মধ্যে ইগোর লড়াই এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে দুই জেলার নেতাদেরই সুপ্রিমো বেশ কড়া দাওয়াই দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বৈঠকের আলোচনা নিয়ে তৃণমূলের নেতারা সংবাদমাধ্যমকে বিশদে কিছু জানাতে চান নি । তবে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পথে দলের উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ” মনে ক্ষোভ-বিক্ষোভ যাই থাকুক , তা নিয়ে মিডিয়ায় সামনে মুখ খুলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট না করতে নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী । ঘরের বিবাদ ঘরেই মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সামনেই নির্বাচন। ভোটকে পাখির চোখ করে সর্বস্তরের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়তেও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ”
দলের সুপ্রিমো সফরে আসায় দুই জেলার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা ভীষণ উজ্জীবিত বলে জানান আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। দলনেত্রী সবাইকে একসাথে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে জলপাইগুড়ির প্রাক্তন পুরপ্রধান মোহন বোস উপস্থিত ছিলেন না। কোভিড টেস্টের রিপোর্ট না আসায় তিনি বৈঠকে থাকতে পারেন নি বলে জানা গেছে । বৈঠকে ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীও হাজির ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বার পিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অনন্তদেববাবু । বৈঠকে দলনেত্রী তাঁকে কিছু বলেছেন কিনা তা নিয়ে এদিন কোনও উচ্চবাচ্য করেননি ময়নাগুড়ির বিধায়ক ।
ছবি/ভিডিও – নিজস্ব