হাইলাইটস –
- ইন্টারভিউ তালিকা তৈরীতে গাফিলতি দেখে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে অপদার্থ বললেন বিচারপতি ।
- পাশে নম্বর সহ নতুন তালিকা প্রকাশ করতে বিচারপতির নির্দেশ ।
- যে প্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাবে না , নম্বর সহ তাদের পৃথক তালিকা প্রকাশের নির্দেশ ।
- দুই তালিকা প্রকাশের পরই নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলবে আদালত ।
- আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি ।
কলকাতা : উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে কোনও ধরণের অস্বচ্ছতা দেখতে চায় না আদালত । আগামী সাত দিনের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে প্রার্থীদের নম্বর দিয়ে ফের ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । পাশাপাশি ইন্টারভিউ লিস্টে স্থান না পাওয়া প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরের একটি পৃথক তালিকাও এসএসসিকে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । শুক্রবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে অপদার্থ বলেও ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় । এই দুই তালিকা প্রকাশ করার পরেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ উঠবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি । আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন তিনি ।
পুজোর আগেই প্রাথমিকে ১০ হাজার ৫০০ এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউতে ডাক পাওয়া প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশিত হতেই চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । তালিকা তৈরীতে অনিয়ম হয়েছে এই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বঞ্চিতরা । ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের নামের পাশে নম্বর উল্লেখ নেই । ন্যূনতম কত নম্বর পেলে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়েছে তাও জানানো হয় নি বলে অভিযোগ করেন মামলাকারীরা । মামলাকারীদের অভিযোগে সারবত্তা খুঁজে পাওয়ায় ৩০ জুন শুনানির প্রথম দিনই উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি ।
আদালতের স্থগিতাদেশের জেরে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে । এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মামলাকারীদের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেন মুখ্যমন্ত্রী । তৃণমূলের আমলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম রেওয়াজে পরিণত হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ বিরোধীদের । মামলার অজুহাতে নিয়োগ বন্ধ রাখতেই বারংবার ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রার্থী তালিকা তৈরীতে অনিয়ম ঘটানো হয় বলেও সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষ করছেন নেটাগরিকেরা ।