সদ্যই শুভেন্দু অধিকারী এবং সাংসদ সুনীল মন্ডল সহ ছয়জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন । তার মধ্যে শুভেন্দুর হাতে পদ্ম পতাকা তুলে দেওয়াটা নিঃসন্দেহে বিজেপির একটা মাস্টার স্ট্রোক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । যদিও জলপাইগুড়িতে বসে রাজনৈতিক দলবদলের এই মরশুমে শুভেন্দু অধিকারীকে কার্তিক শেঠ , শিশির ঘোষ , সুনীল ছেত্রী কিম্বা বড় জোর বাইচুং ভুটিয়ার বেশি নম্বর দিলেন না সৈকতবাবু । শুভেন্দু অধিকারীদের বিজেপিতে যোগদানের পর সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায় , ‘ অনেকের মধ্যে গেল গেল রব উঠেছে । কিন্তু মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা বিজেপির রিক্রুটাররা কাদের নিচ্ছেন ? তাঁরা একটা জিনিস ভুলে গেছেন মারাদোনা এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন । তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ‘ তা তৃণমূলের টিমে বুরুচাগার ভূমিকায় কে রয়েছেন ? সৈকতবাবু জানালেন তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । ছেয়াশিতে মারাদোনা-বুরুচাগা যেভাবে আর্জেন্টিনার ঘরে বিশ্বকাপ নিয়ে এসেছিলেন ঠিক সেভাবেই উনিশের ফাইনালে মমতা-অভিষেক জুটিই তৃণমূলকে চ্যাম্পিয়ন করবে বলে ঘোষণা দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি ।
এবার তৃণমূল নেতা হিসেবে জলপাইগুড়ি আসছেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। ছবিতে শুভেন্দু অধিকারীকেও দেখা যাচ্ছে,যাঁর কাছে তৃণমূল এখন অতীত মাত্র |
তবে তৃণমূলের ঘরের দিকে বিজেপির নজর যে তাঁদের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এদিন সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের কথায় সেই ইঙ্গিতও ছিল স্পষ্ট । বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে চলতি দলবদল পর্বে বিজেপির ভূমিকার কটাক্ষ করেন সৈকতবাবু । যদিও মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা বিজেপির রিক্রুটাররা তৃণমূলের খুব বেশি দক্ষ প্লেয়ারদের তুলতে পারবেন না বলে নিশ্চিত তিনি । এদিকে মান-অভিমান বা ক্ষোভের জ্বালায় জলপাইগুড়ি জেলা থেকে নতুন করে আর যাতে কেউ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি শিবিরে নাম না লেখায় তা দেখতে অভিষেক জেলায় আসার আগেই পা রাখছেন অধ্যাপক ডঃ ওমপ্রকাশ মিশ্র। সোমবারই ওমপ্রকাশবাবু জলপাইগুড়িতে আসছেন বলে জানিয়েছেন সৈকত চট্টোপাধ্যায় । ওমপ্রকাশ মিশ্র শেষবার জলপাইগুড়ি সফরে এসেছিলেন ষোলোর বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোট প্রার্থী ডঃ সুখবিলাস বর্মার হয়ে ভোট প্রচারে । তখন তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম নেতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোরতম সমালোচকদের একজন । বিশের একেবারে শেষে আবার জলপাইগুড়িতে আসছেন ওমপ্রকাশবাবু তবে এবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা রূপে ! ওমপ্রকাশ মিশ্র জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার ১৫টি সাংগঠনিক ব্লকের ছাত্র, যুব এবং মহিলা শাখা সহ দলের সবার সঙ্গেই কথা বলবেন বলে সৈকতবাবু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ।